chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কাট্টলীতে বাসায় আগুন : দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২

নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকার মরিয়ম ভবনের ছয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ জনে দাঁড়িয়েছে।

আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুর রহমান (৪২) মারা যান। এ ঘটনার মাত্র ৩ দিনের মাথায় মায়ের পর ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার (৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে মিজানুর রহমানের মা পেয়ারা বেগম (৬০)।

নিহতের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম (২৫) তার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তাছাড়া তিনি (সাইফুল) নিজে, নিহত মিজানুরের মেয়ে মানহা (২), মাহের (৭) ও স্ত্রী সুলতানা মুন্নি (৩৫) সহ একই পরিবারের আরো ৫ সদস্য বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানান।

উল্লেখ্য, গত রবিবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার সময় উত্তর কাট্টলীর মরিয়ম ভবনের ছয়তলার ফ্ল্যাটে অগ্নিকান্ড ঘটে।

এতে একই পরিবারের সাতজনসহ ৯ জন দগ্ধ হয়। দগ্ধরা হলেন পেয়ারা বেগম (৬৫), মিজানুর রহমান (৪২), সাইফুর রহমান (১৯), বিবি সুলতানা (৩৬), মানহা (২), মাহের (৭), রিয়াজ (২২), জাহান (২১) ও সুমাইয়া (১৮)।

চিকিৎসকেরা জানান, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে পেয়ারা বেগমের শরীরে ৬৫ শতাংশ, মিজানুরের শরীরের ৪৮ শতাংশ, সাইফুরের ২২, সুলতানার ২০, মানহার ২০, রিয়াজের ১৮ শতাংশ, সুমাইয়ার ১৫, জাহানের ১২ ও মাহেরের ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের শ্বাসনালী পুড়ে যায়। তাদের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।

তাদেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরদিন সোমবার চিকিৎসাধিন অবস্থায় পেয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়।

আশংকাজনক অবস্থায় মিজানুর রহমানসহ একই পরিবারের আরো ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে তাদের পাঠানো হয়। আজ বুধবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মিজানুর মারা যান।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ ও রোগীদের সাথে কথা বলে ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর