chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভিজিট ভিসার বাংলাদেশি যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ : করোনাভাইরাসের মহামারীতে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে ছুটিতে গিয়ে দেশে আটকা পড়েছেন প্রবাসীরা। নিজ কর্মস্থলে ফিরতে না পারায় অর্থকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছে প্রবাসী পরিবারগুলো।

করোনার কারণে বন্ধ থাকার পর অর্থনৈতিক ক্ষতির দিক বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক দেশ সীমিতপরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করেছে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে কুয়েত সরকার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিসরসহ ৩৪ দেশের নাগরিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

তবে ওই ৩৪ দেশ ব্যতীত অন্য কোনো দেশ হয়ে কুয়েত প্রবেশে কোনো বাধা নেই। সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে আরব আমিরাত সরকার ভিজিট ভিসা সহজ করে দেয়ায় মিসর, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকরা ফিরছেন কর্মস্থল কুয়েত।

বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিজিট ভিসায় কর্মস্থল কুয়েতে আসতে হলে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ খরচ। বাংলাদেশে বিমানবন্দরে কন্ট্রাক ছাড়া ভিজিট ভিসায় প্রবাসীদের বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক প্রবাসী।

তবে যারা দুবাইয়ের ভিজিট ভিসার জন্য সিন্ডিকেট অথবা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে দুই লাখ থেকে তিন লাখ টাকায় কন্ট্রাক করেন, তাদের বাংলাদেশে বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হতে হয় না।

চট্টগ্রামের কুয়েত প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি– এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক করতে হয়, কিন্তু আমি তা করিনি। অন্য একজন লোকের মারফতে জানতে পারি বিমানবন্দরের ভেতরে সিন্ডিকেটের লোক আছে, তাদের টাকা দিলে ছেড়ে দেবে।

কুয়েতের উদ্দেশ্যে গত ৭ নভেম্বর শাহ আমানত বিমানবন্দর হয়ে দুবাই এসেছি। প্রথমে বোডিং পাসের জন্য কাউন্টারে লাইনে দাঁড়ানোর পর আমার কাগজপত্র দেখে ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং বলা হয় ১০ নম্বর কাউন্টারে যোগাযোগ করতে।

সেখানে যাওয়ার পর আবারও কাগজপত্র চেক করে আরও কাগজপত্র লাগবে বলে জানানো হয়। আমার সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও আমাকে বোডিং পাস দেয়া হয়নি।

পরে আমি তাদের চাহিদার সেই অদৃশ্য কন্ট্রাকের টাকা দিতে রাজি হতে আমাকে বোডিং পাস দেয়া হয়। নিচের স্থর থেকে ওপরের স্থর পর্যন্ত পুরো একটা সিন্ডিকেট এর সঙ্গে জড়িত।

আমার কোম্পানিতে ভারত ও পাকিস্তানের সহকর্মীরা এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকায় ভিজিট ভিসায় কুয়েতে পৌঁছেয়েছে।

তাদের দেশে এবং দুবাই কিংবা কুয়েত- কোনো দেশেই আমার মতো কোনো ঝামেলা বা হয়রানির শিকার হননি তারা। আমরা কী দুর্ভাগা জাতি আমাদের নিজ দেশের বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হতে হয়।

আমরা পরিবার প্রিয়জন ছেড়ে হাজার মাইল দূরে গিয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠাই। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স।

সরকারের উচিত করোনার কারণে আটকেপড়া প্রবাসীদের কর্মস্থলে হয়রানি ছাড়াই ফিরতে পারে সেটির ব্যবস্থা করা এবং বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এসএএস/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর