chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাউজানে মাস্ক না পড়ায় পথচারি ও আলুর দাম বেশি রাখায় দোকানিকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা সদরের ফকিরহাট ও মুন্সির‌ঘাটায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এ অভিযানের নের্তৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ।

প্রায় দেড় ঘন্টার ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মোট ৩১ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা আদায় করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এরমধ্যে বিক্রির উদ্দ্যেশে দোকানে স্যাম্পল ওষুধ রাখার অপরাধে কৈবল্য ফার্মেসীর মালিক প্রদীপ কান্তি চৌধুরীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ফকির হাট কাচাঁ বাজারে অতিরিক্ত মূল্যে আলু বিক্রির অপরাধে পাইকারী আলু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আজগরকে ৫ হাজার টাকা এবং সবজি ব্যবসায়ী বাদল দাশকে ৫ শত টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।

তাছাড়া মুখে মাস্ক না পড়ায় জুয়েলারি ব্যবসায়ী সৈকত দে,ফরিদ মিয়াকে ২ হাজার টাকা করে, বেলাল হোসেনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং উপজেলার বিভিন্ন বিপনী বিতান, সড়ক ও গাড়ীতে চলাচলরত পথচারিরা মাস্ক না পড়ায় প্রাথমিক ভাবে তাদের সতর্ক করেন তিনি।

অন্যদিকে ১০ টনের অধিক ইট পরিবহন বহন করার অপরাধে ট্রাক চালক আবু সৈয়দকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে নির্বাহী অফিসার। অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, বর্তমানে আমরা করোনাভাইরাস মোকাবিলার দ্বিতীয় দাপ অতিক্রম করছি।

সরকারের ‘নো মাস্ক-নো এন্ট্রি’ বাস্তবায়নে আমরা মাঠে নেমেছি। তাছাড়া বর্তমান সময়ের অস্থির আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছি।

আজকের অভিযানে আলুর দাম বেশি রাখা, মুখে মাস্ক না থাকা, ফার্মেসীতে স্যাম্পল ওষুধ রাখা এবং নির্ধারিত ওজনের চাইতেও অধিক ওজনে মাল পরিবহণের মতো অপরাধ ধরা পড়েছে।

এসব অপরাধে মোট ৩১ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর