টিসিবির তেল ও ডাল বিক্রি হচ্ছে খুচরা দোকানে,জরিমানা দিল দোকানি
নিজস্ব প্রতিনিধি : নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতিতে যখন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের দিশেহারা অবস্থা ঠিক তখনই সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ন্যায্যমূল্যে পন্য বিক্রি শুরু করে।
তবে নানামনে প্রশ্ন উঠেছে টিসিবির পণ্য যায় কোথায়? ট্রাকের সামনে দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িয়েও পন্য মেলে না কেন? মুদি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে প্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে সাধারণ ভোক্তাদের।
এমন নানা অভিযোগের ভিত্তিতে বাজার তদারকি শুরু করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়। আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে নগরীর বন্দর থানায় তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বন্দর থানার নতুন পোর্ট কলোনি বাজারে পরিচালিত অভিযানে জামাল স্টোর নামে একটি মুদি দোকানেই ধরা পড়ে টিসিবির তেল ও মসুর ডাল। বেশি দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রির উদ্দ্যেশে এসব সরকারি পণ্য দোকানে তোলা হয়েছে।
টিসিবির পন্য দোকানে মজুদ রেখে বিক্রির অপরাধে ওই দোকানিকে তাৎক্ষনিক ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদপ্তর। তাছাড়া দোকানে মজুদ রাখা ৫০ লিটার সয়াবিন তেল ও প্রায় ৩৮ কিলোগ্রাম মুসুর ডাল জব্দ করা হয়।
পুরাতন পোর্ট কলোনি বাজারে দিনভর অভিযানে আরো ৭ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করার তথ্য জানিয়েছে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
তিনি জানান, সোমবার পরিচালিত অভিযানে বেশি দামে আলু বিক্রয় করায় মিরাজ স্টোর ও আল ফাওরিজ স্টোর প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় আব্দুল আজিজ পোলট্রি, সুফিয়ান পোলট্রি ও নূর হোসেন পোলট্রি ৪ হাজার টাকা করে এবং আলাউদ্দিন স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এপিবিএন, ৯ এর সহায়তায় পরিচালিত একই অভিযানে মেয়দোত্তীর্ণ পণ্যের মেয়াদ ঘষামাজা করায় গরীবে নেওয়াজ এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এসব অভিযান পরিচালনা করেন। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এমনটাই জানিয়েছে অধিদপ্তর।
চখ/আর এস