chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্যই সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে-ডা. শাহাদাত

বিদ্যুত ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধনে

বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ ৯ বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এই ঘন ঘন বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারন হচ্ছে কিছু আওয়ামী মারওয়ারী ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়া। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কিছু ব্যবসায়ীদের সামনে নিয়ে এসেছে। এক সময়ে যাদের বাসায় ছুলা জ¦লতো না তারা আওয়ামী লীগে যোগদিয়ে মনোপলি ব্যবসার মাধ্যমে জনগণের টাকা লুটপাঠ করছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে যখন তখন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। লুটপাঠের বড় আখড়া কুইক রেন্টাল করে এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া গুনতে হচ্ছে হাজার কোটি টাকা। কুইক রেন্টালগুলো উৎপাদন না করলেও ভাড়া দিতে হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ জীবনযাত্রার সকল খরচ বেড়ে গেছে। মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তাই এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আজ ২ মার্চ সোমবার সকালে নগরীর কাজীর দেউড়ী নুর আহমদ সড়কে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ কথা বলেন।

বিএনপি কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে সাধারণ মানুষের। দেশীয় শিল্পকারখানা ধ্বংস করে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধের মাধ্যমে দেশকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়ার চক্রান্ত চলছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর মাত্র ৮ মাসের মাথায় আবার বিদ্যুত ও পানির দাম বাড়ানো হলো। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি দেশের শিল্পের শক্তি ধ্বংস করে দিবে।নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রার সকল খরচ বেড়ে যাবে।মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সরকার প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে। বার বার তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করে সরকার সেই প্রতিহিংসার নীতিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটালো। সরকারের ইচ্ছাই বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে বিনা চিকিৎসায় শোচনীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত চলছে। সরকার এজন্যই আদালতকে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলের দরপতনের মধ্যেই দেশে বিদুৎ এর মূল্য বাড়ানোর কারন হলো লুঠপাট। দাম বাড়ানোর মাধ্যমে গ্রাহকদের পকেট থেকে বছরে দু’হাজার কোটি টাকা লুটে নিবে আওয়ামী সিন্ডিকেট। তিনি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী জানান । অন্যথায় এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণের অসুবিধা হবে না’ এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যারা জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারি করেছে তাদের অসুবিধা হবে না কিন্তু জনগণেণর উপর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ মতো অবস্থা হয়েছে। বারবার গ্যাস বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। গণতন্ত্রের নামে নির্বাচন আছে কিন্তু জনগণের ভোট দেয়ার অধিকার নেই। দেশে আদালত আছে কিন্তু বিচার নাই। ব্যাংক আছে কিন্তু টাকা নেই। আওয়ামী লীগ এখন কেসিনো লীগে পরিণত হয়েছে। তিনি সরকারের এই অপকর্ম থেকে মুক্তি পেতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে বিজয়ী করার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উত্তরজেলা বিএনপি নেতা চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, এম এ হালিম, ইসহাক কাদের চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন, নগর বিএনপির সহসভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হাজী মোহাম্মদ আলী, শফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, সদস্য অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, এনামুল হক এনাম, এম এ রহিম, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইস্কান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, আজম খান, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মাহবুব আলম, শিহাব উদ্দিন মোবিন, মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ রফিক, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, হামিদ হোসেন, ফাতেমা বাদশা, ইব্রাহিম বাচ্চু, মনজুর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর আজম উদ্দিন, আব্দুল্লাাহ আল হারুন, মোহাম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান, মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী টিপু, খোরশেদ আলম, হুমায়ুন কবির আনসার, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, মোঃ কামাল পাশা, কাজী সালাউদ্দিন, কুতুব উদ্দিন বাহার, শওকত আলী নূর, মাঈন উদ্দিন মাহমুদ, জাকের হোসেন,মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, জেলী চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান, আরিফ মেহেদি,আলমগীর নূর, আবু মুসা, আলী আজম, আফতাবুর রহমান শাহীন, মোঃ শাহাবুদ্দিন, নূর হোসেন, আব্দুল কাদের জসিম, হাজী মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর,জামাল উদ্দিন, মঈনুল আলম ছোটন, জসীমউদ্দীন, ফিরোজ আহমেদ, নিজামুল হক তপন, শফিউজ্জামান,আসমত আলি বাহাদুর,মোঃ আজগর,সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, মনজুর আলম তালুকদার, শহিদুল আলম শহীদ, মোহাম্মদ মহসিন, ইউসুফ সিকদার, রেজিয়া বেগম মুন্নি, সাহেদা বেগম, হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, ইলিয়াছ চৌধুরী, এম ইলিয়াস আলী প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর