মীর মো. নাসির উদ্দীনকে কারাগারে প্রেরণ করায় বিএনপির প্রতিবাদ
চট্টগ্রাম ডেস্ক : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে প্রেরনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নের্তৃবৃন্দরা।
আজ রবিবার (৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের রাতে ভোটের মাধ্যমে নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী লীগ সরকার এখন ফ্যাসিবাদের চরম মাত্রায় এসে উপনীত হয়েছে।
বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা মামলা দায়ের এবং আদালত কর্তৃক জামিন নামঞ্জুর যেন তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর এই কর্মসূচি সাফল্যমন্ডিত করার জন্য মানুষের ভোটের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে পূর্বেই হরণ করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনকে ওয়ান ইলেভেনের সরকারের দায়ের করা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার করে সরকার তাদের নীল নকশার চরিত্র আবারো ফুটিয়ে তুলেছে।
ওয়ান ইলেভেন সরকার রাজনীতি ধংস করার জন্য আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাদের নামে মিথ্যা হয়রানি মামলা দায়ের করে বাংলাদেশের রাজনীতি ধংস করতে চেয়েছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের নেতাদের নামে দায়ের হওয়া সকল মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করলেও বিএনপির নেতাদের হয়রানি করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তা সচল রেখেছেন।
ওয়ান ইলেভেনের সময় শুধু বিএনপির নেতাদের নামে মামলা হয়নি আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর বিরুদ্ধে ও হয়েছিল। সেটা তারা বেমাভুল ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তাদের মামলা প্রত্যাহার করে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠাচ্ছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, মীর নাছির উদ্দীন একজন সাবেক সহকারী জজ, সিনিয়র আইনজীবি ও বয়োজৈাষ্ঠ মানুষ। করোনাকালীন এই সময়ে সরকারের নির্দেশনায় মিথ্যা মামলায় জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
অবিলম্বে মীর নাছির উদ্দীনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পূর্বক নিংশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান।
চখ/আর এস