chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পদ্মা সেতুতে বসল ৩৬তম স্প্যান, দৃশ্যমান প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার

জাতীয় ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হলো পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যান। আজ শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে ‘ওয়াব-বি’ নামের স্প্যানটি বসানো হয়েছে।

আর এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার (৫ হাজার ৪০০মিটার)। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর পদ্মা সেতুর ৩৫তম স্প্যান বসানো হয়। মাত্র ছয় দিনের মাথায় বসানো হলো স্প্যানটি।

তাছাড়া গত মাসে পদ্মা সেতুতে চারটি স্প্যান বসিয়ে প্রকৌশলীদের বড় যে সাফল্য এসেছে এর ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেও চারটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

আর মাত্র পাঁচটি স্প্যান (৭৫০ মিটার) বসালে দৃশ্যমান হবে পুরো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু। ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো সেতু দাঁড়ানোর আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১১ নভেম্বর ৯ ও ১০ নম্বর খুঁটিতে ৩৭তম স্প্যান (স্প্যান ২-সি), ১৬ নভেম্বর ১ ও ২ নম্বর খুঁটিতে ৩৮তম স্প্যান (স্প্যান ১-এ), ২৩ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর খুঁটিতে ৩৯তম স্প্যান (স্প্যান ২-ডি), ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটিতে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) ও সর্বশেষ আগামী ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর ৪১ নম্বর স্প্যানটি (স্প্যান ২-এফ) বসানোর কথা রয়েছে। স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত রয়েছে।

জানা যায়, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। মোট ৪২টি পিয়ারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য : ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় স্প্যানগুলো। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর পাঁচ হাজার ২৫০মিটার অংশ।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর