chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বুড়িমারীতে জুয়েল হত্যা : মসজিদের খাদেমসহ ৪ জন রিমান্ডে

ডেস্ক নিউজ : লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গণপিটুনি দিয়ে শহীদুন্নবী জুয়েলকে হত্যা ও লাশ পোড়ানোর ঘটনায় করা তিন মামলায় দ্বিতীয় ধাপে মসজিদের খাদেমসহ চারজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন লালমনিরহাট আমলি আদালত-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগম।
আজ আলোচিত এ তিন মামলায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ওসি ওমর ফারুক। তাদের মধ্যে নয়জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৪ নভেম্বর) বিকালে চতুর্থ দফায় গ্রেফতার পাঁচ আসামিকে লালমনিরহাট আমলি আদালত-৩ এ হাজির করে পুলিশ। যার মধ্যে রবিউল ইসলাম ওরফে পিচ্চি রবিউলের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এর আগে সোমবার (২ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফায় খাদেমসহ গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী। সেই আবেদনের শুনানি শেষে মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ চারজনের প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই আদালত প্রথম দফায় পাঁচজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড আদেশপ্রাপ্তরা হলেন, পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের জাহর উদ্দিনের ছেলে বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খাদেম জোবেদ আলী (৬১), বুড়িমারী ইউনিয়নের কামারেরহাট এলাকার জাহেদুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান রাজু (১৯), নামাজিটারী গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৫৫) ও উফারমারা গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে পিচ্চি রবিউল (৪০)।

কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার অভিযোগে নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে গত শনিবার (৩১ অক্টোবর) একটি মামলা করেন। একই ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পাটগ্রাম থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী বাদি হয়ে এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুরের অভিযোগে অপর একটি মামলা করেন বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত। বহুল আলোচিত তিনটি মামলায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়ার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হারিয়ে ফেলেন তিনি।
এসএএস/

এই বিভাগের আরও খবর