নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শেখ মুজিব সড়কে চলছে রিকশা
ছবি প্রতিবেদক : নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নগরীর ব্যস্ততম শেখ মুজিব সড়কে চলছে রিকশা। দ্রুতগামী ট্রাক, বাস ও কারের সাথে পাল্লা দিয়েই চলছে তিনচাকার মানবচালিত এই যানবাহনটি। গতির অসম প্রতিযোগিতার কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পাশাপাশি এই সড়কে আছে যানজটও যার অন্যতম কারণ স্লথগতির রিকশা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক সচেতন মানুষকেও দেখা যায় রিকশায় চড়তে।
যানজটের কারণে মানুষের কর্মঘণ্টার পাশাপাশি মূল্যবান জ্বালানির অপচয় হচ্ছে।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস, ইপিজেড, শাহ আমানত বিমানবন্দরসহ অসংখ্য গুরুকত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) যাওয়ার অন্যতম প্রধান রাস্তাটির নাম শেখ মুজিব সড়ক। প্রতিদিন শত শত বিমানযাত্রী আসা-যাওয়া করছেন এই সড়ক দিয়ে। দেশের বিভিন্ন স্থানে আমদানি রপ্তানি পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয় এই সড়কের ওপর দিয়েই।
তবে যানজটের কারণে যাত্রীবাহী গাড়ি বা পণ্যবাহী ট্রাক, কোনোটাই সময়মত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। জিইসি মোড় থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহনের মাধ্যমে এ পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগার কথা। কিন্তু এই রাস্তা পাড়ি দিতে কখনো কখনো সময় লাগছে দুই থেকে চার ঘণ্টা।
তাই এই সড়কে রিকশা ও অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যানজটমুক্ত নগর গড়তে পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি প্রধান সড়কও রিকশামুক্ত করা প্রয়োজন বলে মত তাদের।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে গত বছরের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের ব্যস্ততম সড়কে যানজট নিরসনে শেখ মুজিব সড়কের দেওয়ানহাট থেকে আগ্রবাদ বারিক বিল্ডিং সড়ক পর্যন্ত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল যানজট কমলে নগরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতেও রিকশা বন্ধ করা হবে। কিন্তু শেখ মুজিব সড়কে যানজট আগের মতোই আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জনদুর্ভোগও কমেনি এতটুকুও।