chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

স্মার্টফোনেই এখন পৃথিবীর সব ভাষা

ভাষার দুনিয়া এখন আপনার হাতের মুঠোয়। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? কিন্তু যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় ভাষা না জানলে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন কি করে?

যেমন ধরুন, চিকিৎসার জন্য অসংখ্য মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে যান। কিন্তু সকলেই তো ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না।

স্কুলে পড়ার সময়ে খানিক চাপে পড়েই অনেকে বাংলা, ইংরেজির ভাষা পড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু যাঁরা এর মধ্যেই স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে এসেছেন? বিদেশি ভাষা শিখতে গেলে তাঁদের তখন ভর্তি হতে হয় নানা কোর্সে। হিন্দি, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, জাপানিজ়, জার্মান, রাশিয়ান… যে ভাষাই শেখার ইচ্ছে থাক না কেন, তার জন্য টাকা দিয়ে ল্যাঙ্গোয়েজ স্কুল বা টিউটরের কাছ থেকে শিখতে হয়। আবার অনেক সময়ে প্রাথমিক ভাবে যে ভাষা শিখতে ইচ্ছে হচ্ছিল, পরে তা জটিল লাগে কিংবা সেই ভাষার প্রতি তেমন টান অনুভূত হয় না। ফলে একগুচ্ছ টাকা দিয়ে ভর্তি হওয়ার পরেও রীতিমতো বিপাকে পড়তে হয়।

তা হলে কী করণীয়?

কোনও ভাষা শিখতে গেলে মোটামুটি চারটি বিষয় রপ্ত করা প্রয়োজন। তা হল বলা, শোনা, পড়া এবং লেখা। এই চারটি ধাপ শিখে গেলেই যে ভাষা দখলে, তা ভাবা সঠিক নয়। প্রত্যেকটি ভাষারও আবার নানা লেভেল বা স্তর থাকে। যেমন, ইতালিয়ান ভাষায় এ-ওয়ান, এ-টু, বি-ওয়ান, বি-টু, সি-ওয়ান, সি-টু…মোটামুটি ছ’টি ভাগ রয়েছে। এ-ওয়ান একেবারে প্রাথমিক ও তুলনায় সহজ স্তর। সি-টু স্তর উত্তীর্ণ হওয়ার অর্থ ওই ভাষা সম্পর্কে নেটিভ অর্থাৎ স্থানীয় ইতালিয়ানদের মতো দক্ষতা অর্জন করা। জাপানিজ়ের ক্ষেত্রে আবার তা উল্টো। জেএলপিটি (জাপানিজ় ল্যাঙ্গোয়েজ প্রফিশিয়েন্সি টেস্ট) ভাগ করা হয় পাঁচটি স্তরে। জেএলপিটি ফাইভ মানে এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও সহজ এবং ওয়ানের অর্থ সবচেয়ে কঠিন। অর্থাৎ হিসেবটা উল্টো। স্তরের ভাগ প্রতিটি ভাষা বিশেষে আলাদা হয়।

  • যাঁরা ইংরেজিটা মোটামুটি জানেন, তাঁদের শেখার জন্য কোন ভাষা কতটা কঠিন, তারও রয়েছে চারটি ভাগ। প্রথম স্তরে অর্থাৎ সহজে শেখা যায় ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ়, স্প্যানিশ। দ্বিতীয় ধাপে পড়ে জার্মান, ইন্দোনেশিয়ান। কঠিনতর ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ফারসি, রাশিয়ান, তাই, এবং উর্দু। কঠিনতম ভাষা অর্থাৎ যা আয়ত্ত করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়, সেগুলি হল অ্যারাবিক, চাইনিজ়, জাপানিজ়, কোরিয়ান।
  • সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ইউটিউবে, সিনেমায় সেই ভাষা শুনে দেখতে পারেন। যে ভাষা শুনতে মধুর লাগে ও আগ্রহ বাড়ে, সেটি শিখতে পারেন।
  • অ্যান্ড্রয়েড এ নানা অ্যাপ রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রায় বিনামূল্যে বিদেশি ভাষা শেখা সম্ভব।
  • প্রায় প্রতিটি ভাষারই পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে বাংলাদেশে। পড়াশোনা কত দূর এগোল, তা নির্ণয় করতে পরীক্ষা দেওয়া যায়। পরীক্ষাকেন্দ্র কোথায় পড়ে, তা জানাও জরুরি।

ভাষা শুধু অন্য দেশের সঙ্গে সীমারেখা ঘোচায় না, খোলে মনের দরজাও। যে দরজার বাইরে অপেক্ষা করে আছে এক সম্ভাবনাময় নতুন জগৎ। ভাষার জগৎ, শিক্ষার জগৎ।

এই বিভাগের আরও খবর