ডেস্ক নিউজ : উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে চার নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপের কারণে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে রংপুর বিভাগ ছাড়া সারা দেশে ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেতে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজ পুর রগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুটের বেশি উচ্চতায় বাতাসের তোড়ে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, গভীর নিম্নচাপটি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার, মংলা থেকে ২৪০ কিলোমিটার এবং পায়রা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য আবহাওয়ার বার্তা, নদীবন্দরসমূহের জন্য সর্তকতা সংকেত ও ঘূর্ণিঝড়ের বিশেষ বার্তা জানতে যে কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে ১০৯০ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
চখ/আর এস