chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীনের ভূমিকা যথার্থ নয়: স্টিফেন বিগান

ডেস্ক নিউজ : রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীনের ভূমিকা যথার্থ নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান।

স্টিফেন বিগানের মতে, এই সংকট সমাধানে টেকসই সমাধানের জন্য জরুরিভিত্তিতে কাজ করতে হবে। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করবে। এই সংকট নিরসনে আমরা সবগুলো দেশকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে চাই। আশা করব, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো এই সংকট মেটাতে মিয়ানমারকে বার্তা দেবে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ-ভারত সফর শেষে এই দু’দেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হন। তখন স্টিফেন বিগান এমন মন্তব্য করেন।

স্টিফেন বিগান বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীন যে পরিমাণ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে তার কিছুই করছে না।

তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘদিন আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান নয়। বিশেষ করে চীনের কাছ থেকে এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছি। কেন না এই সংকট নিরসনে চীন যেভাবে প্রভাব বিস্তার বা পদক্ষেপ নিতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার রাখাইনে যে গণহত্যা চালিয়েছে তা খুবই উদ্বেগজনক। রোহিঙ্গাদের রাখাইনে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে ফেরার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমারকেই কাজ করতে হবে এবং উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট হবে উল্লেখ করে বিগান বলেন, গত সপ্তাহে আমি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের দুই ঘনিষ্ট বন্ধুদেশ বাংলাদেশ এবং ভারত সফর করেছি। এই সফরে ঢাকা ও দিল্লি সরকারের সঙ্গে খুব আন্তরিক পরিবেশে গঠনমূলক বৈঠক হয়েছে। আমাদের উভয়ের স্বার্থে ভবিষ্যতের বন্ধুন আরও দৃঢ় হবে বলে আমি আশাবাদী। বাংলাদেশে এটাই আমার প্রথম সফর। আমি আশাবাদী যে আমাদের দুদেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হবে।’

তিনি আরো বলেন, আমার এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল যে কিভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ, মুক্ত এবং প্রতিটি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে মানুষে মানুষে সংযোগ বাড়াতে, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি ঘটাতে এবং সর্বপরি সকলের উন্নয়নের স্বার্থে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নকে এগিয়ে নেওয়া।

‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে আরো ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়তে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমারা দুই রাষ্ট্র মিলে অনেক আগেই শুরু করেছি’, উল্লেখ করে উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান বলেন, ‘আমার সফরেও এই বিষয়ে গুরুত্বসহকারে আলাপ হয়েছে।

আমরা জানি যে, বাংলাদেশ বেসরকারি খাতের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। আমরা প্রত্যেকে আমাদের সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন করে প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হলেন সালমান এফ রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে প্রতিনিধি হলেন আমাদের অর্থনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কিথ ক্র্যাচ।

যৌথভাবে একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এই পরিকল্পনা যখন বাস্তবায়ন করা হবে তখন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যেকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীরতর হবে। এই সফরে আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং খুব ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।

এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর