chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার নয়

ডেস্ক নিউজ: বর্তমানে প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে করে দিয়েছে সহজ এবং আরামদায়ক তা বলার অবকাশ রাখে না। প্রযুক্তির এই ব্যাপক উৎকর্ষ একদিকে যেমন সুফল বয়ে এনেছে, তেমনি এর অতিরিক্ত ব্যবহারে রয়েছে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন দুনিয়া হাতের মুঠোয় বলা যায়। আর দুনিয়া হাতের মুঠোয় নিয়ে চলা যায় এমন সবচেয়ে ছোট ও পরিবহনযোগ্য ডিভাইস হলো স্মার্টফোন।

গবেষণায় জানা গেছে, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারীদের মধ্যে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

আসুন জেনে মোবাইল অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে যা ক্ষতি হয়

হারানোর ভয়

মোবাইল ঠিক জায়গায় আছে কিনা তা নিয়ে মন সব সময় সতর্ক থাকে। মোবাইল হারানোর ভয় থেকে মনের মধ্যে জন্ম নেয় এক সমস্যা। গবেষকেরা মোবাইলের সঙ্গে যোগাযোগ হারানোর এই ভয়জনিত অসুখের নাম দিয়েছেন ‘নোমোফোবিয়া’; যার পুরো নাম ‘নো মোবাইল-ফোন ফোবিয়া’।

ঘুমের মধ্যে প্রভাব

মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত ব্যবহার ঘুমের মধ্যেও প্রভাব ফেলে। সময় বার্তা পাঠানো, চ্যাটিং করার ফলে ঘুমের মধ্যে সমস্যা হয়। মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তা, কাজের চাপ, ফোন নিয়ে দিন কাটানো, এমন অবস্থায় স্লিপ টেক্সটিং ঘটতে পারে। রাতে বিছানার পাশে মুঠোফোন না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।

চোখের জ্যোতি

যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কানে কম শোনা

ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চশব্দে গান শুনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে।

কমে যেতে পারে শুক্রাণু

গবেষকেরা বলছেন, মোবাইল থেকে নির্গত ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।

ঘুমের সমস্যা 

স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখার ফলে সবচে বেশি দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা বা নিদ্রাহীনতা।

জীবাণুর অভয়ারণ্য

মার্কিন গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, টয়লেট সিটের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে ফোনে। মুঠোফোন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এটি জীবাণুর অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে।