chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

৩৫ টাকায় বিক্রি হবে আলু

ডেস্ক নিউজ: আলুর বাজারে অস্থিরতা কমছে না। সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে আবারও আলুর দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী এ কথা জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বিকেল ৩টায় খামারবাড়িতে কৃষি বিপণন অধিদফতরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আলুর দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আড়ৎদার, খুচরা ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বসে দামটা নির্ধারণ করা হয়।’

এর আগে গত ৭ অক্টোবর প্রতি কেজি আলুর দাম কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা বেধে দেয় কৃষি বিপণন অধিদফতর। এই দাম নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়। কিন্তু এই দামের বিষয়ে আপত্তি জানায় ব্যবসায়ীরা।

গত বছর কৃষকরা আলুর দাম পায়নি, সরকার চেষ্টা করেও দাম বাড়াতে পারেনি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এতে আলু চাষের জমি কমেছে, উৎপাদনও কিছু কম হয়েছে। এর মধ্যে কোভিড মহামারি আসলো। আমাদের এবার লক্ষ্য ছিল আলুর দাম বাড়ানোর জন্য।’

‘দাম বাড়াতে গিয়ে এমন একটা বিপর্যয়কর অবস্থা হবে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ, রিকশাওয়ালা-ভ্যানওয়ালা, শ্রমিক তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। এত দাম চিন্তাই করা যায় না। ৫০ টাকা কিংবা এরও বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এবার ত্রাণের মধ্যে আলু দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদেরও আলু দিতে বলেছিলাম। এজন্য আলুর ব্যবহারটাও বেশি হয়েছে। এ ছাড়া গত পাঁচ মাস ধরে একটানা বৃষ্টি। বৃষ্টিতে শাক-সবজি অনেক কমে গেছে, মানুষ আলুর ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। তা না হলে কোনোক্রমেই আলুর দাম এত বেশি হওয়ার কথা নয়।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের কৃষি বিপণন অধিদফতর দাম নির্ধারণ করেছিল ৩০ টাকা। সেই দামেই বিক্রির জন্য তারা একটা প্রচেষ্টাও চালিয়েছে। কিন্তু সফল হয়নি। এখন ব্যবসায়ীরা আলুই বের করছেন না, দাম বেশি।’

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আশা করি, নতুন আলু আসলে দাম কমে যাবে। এবার আলু অনেক বেশি হবে। আলুতে আমাদের ঘাটতি থাকার কোনো কারণ নেই। আমাদের পর্যাপ্ত আলু হয়। আশা করি, ভবিষ্যতে এই সমস্যা হবে না। আমরা এখনও চিন্তা করছি যে, আলু কীভাবে রফতানি করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘এই বিপর্যয়ের জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্ট করছে।’ দেশে আলুর চাহিদা ৮০ থেকে ৯০ লাখ টন। ১৫ থেকে ২০ লাখ টন আলু আমাদর উদ্বৃত্ত থাকে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর