মাজার এবং কবরস্থানকে সংরক্ষণ করে পিসি রোডের সম্প্রসারন করা হবে : সুজন
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরীর পোর্ট কানেকটিং রোডের সম্প্রসারণ করতে গিয়ে মাজার স্থানান্তর বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি আজ সকাল ১০টায় সংশ্লিষ্ট মাজার এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে গঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এর সাথে তাঁর বাসভবনে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময়ে প্রশাসক সুজন বলেন, পোর্ট কানেকটিং সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। বাংলাদেশের লাইফ লাইন খ্যাত এ সড়কটি বর্তমানে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
যেহেতু এ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই এ সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্যই প্রথম দিন থেকেই আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে আসছি। আপনারা জানেন, সড়কটি সম্প্রসারিত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি সাধন হবে এবং সহজেই এ সড়ক ব্যবহার করে চট্টগ্রাম থেকে দেশের অন্যান্য জেলায় মালামাল পরিবহন করা যাবে।
চসিক এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ একমত পোষণ করেন যে, মাজার এবং কবরস্থানকে সংরক্ষণ করে উক্ত রাস্তাটি সম্প্রসারন করা হবে।
এছাড়া বর্ণিত মাজার সংরক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে। এজন্য চসিক প্রশাসক স্থানীয় মুসল্লীসহ সর্বস্তরের নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন ।
এসময় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দও পোর্ট কানেকটিং সড়কের গুরুত্ব বিবেচনা করে বলেন, তাঁর চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে তাদের পক্ষ থেকেও সর্বাত্নক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে কাজী মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ, গোলাম মোস্তফা মোহাম্মদ নুরন নবী আলকাদেরী, এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, আলহাজ্ব স.উ.ম আবদুস সামাদ, মাওলানা করিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা কামাল পাশা, আব্দুন নবী আলকাদেরী, হাফেজ আবদুর রহমান, চসিক এর পক্ষে নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব ও মাওলানা মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসএএস/এএমএস