chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অলসতা দূর করার সহজ উপায়

ডেস্ক নিউজ: আমাদের মধ্যে প্রায় সকলেই অলসতা নামক ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত। এই রোগটা আমাদের দেহে প্রথমে ছোট্ট একটি জায়গা দখল করে বসে এরপর ক্রমশই আমাদের দেহের শিরায় উপশিরায় দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পরে। যার ফলে আমরা অকার্মন্য হয়ে পরি। আমাদের কাজ করার মানসিকতা বিকল হয়ে পরে। কাজের প্রতি অনিহা সৃষ্টি হয়। তাই কর্ম ক্ষেত্রে ভোগ করতে হয় ব্যর্থতার তিক্ত স্বাদ। তাই সাফল্যের উচ্চশিখরে পৌঁছতে হলে অলসতাকে দূর করতে হবে।

আসুন জেনে নিই কিভাবে সহজে অলসতা দূর করা যায়:

ডিজিটাল ডায়েট:

শিশু-কিশোরদের নিয়ে জার্মানির টেশনিকার স্বাস্থ্যবিমা কোম্পানির করা এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে শতকরা ১৭ জনই স্বীকার করেছে, দিনে কয়েক ঘণ্টা অনলাইন থেকে দূরে থাকলে ওদের কিছু একটা হারিয়ে যাওয়ার মতো ভয় হয়, যে অনুভূতি দিন দিন বাড়ছে৷ সমাজের এই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে তরুণদের প্রতি জার্মানির মোটিভেশন ট্রেনার গাব্রিয়েলে ভিনকে-র পরামর্শ ‘ডিজিটাল ডায়েট’, অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে৷

শরীরচর্চা:

সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে ধীরে ধীরে তরুণরা যেভাবে আকৃষ্ট হয়েছে ঠিক সেভাবেই আস্তে আস্তে কমাতে হবে৷ একেবারে বাদ দেওয়ার কথা কিন্তু এখানে কেউ বলছেন না, কাজেই ভয় নেই! আর এর প্রথম পদক্ষেপ বা লক্ষ্য হবে খেলাধুলা বা শরীরচর্চা করা৷ কাজেই আর দেরি নয়, উপযুক্ত জুতো পরে নিন৷

হাঁটুন:

দিনের অনেকটা সময় কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে কাটানোর ফলে শরীর কেমন ম্যাজম্যাজ করে কিংবা অনেকদিন শরীরচর্চা না করায় কেমন এক অলসতা পেয়ে বসেছে৷ তাই প্রথমদিন বেরিয়ে মাত্র ১০ মিনিট হাঁটুন বা দৌড়াদৌড়ি করুন৷ ভালো লাগলে সময়সীমা বাড়িয়ে দিন৷

সময়সূচি তৈরি করে নিন:

দরকারী কাজের তালিকা করে ফেলুন৷ তারপর দুপুরে বন্ধুদের সাথে ফোনে কথা বলা বা আড্ডায় যাওয়ার সময়ের তালিকায় শরীরচর্চা লিখে ফেলুন৷ শুধু তাই নয়, বন্ধুরা – যারা কাছাকাছি থাকে তাদের সাথে ফেসবুক চ্যাট না করে ওদের সাথে নিয়ে যান৷ কিংবা বা একেকবার একেক বন্ধুকে নিয়ে মুক্ত হাওয়ায় খেলাধুলা বা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন, অবশ্যই আনন্দ হবে৷

ধৈর্য:

বৃষ্টি, আবহাওয়া খারাপ, যেতে ইচ্ছে করছেনা বা সময় নেই-এর মতো কোনো অজুহাত চলবে না কিন্তু! লম্বা দিনের মাত্র কয়েকটা মিনিট বা ঘণ্টাখানেক সময় নিজের শরীরে জন্য খরচ করুন৷ মাসখানেক পর দেখবেন ধীরে ধীরে আনন্দ পাচ্ছেন৷ এভাবেই একসময় সোশ্যাল মিডিয়ার আগ্রহ খানিকটা কমে যাবে এবং ক্ষতিকারক দিকগুলো থেকে স্বাভাবিক নিয়মেই নিজে বেরিয়ে এসেছেন৷ তখন টেরই পাবেন না যে অলসতা কোথায় পালিয়ে গেছে !

নিজেকে পুরস্কার দিন:

মোটিভেশন ট্রেনার গাব্রিয়েলে ভিনকে জানান, কিছুদিন এভাবে চলার পর দেখবেন শারীরিক ফিটনেস ফিরে আসার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও ফিরে এসেছে৷ এবার নিজের সাফল্যের জন্য নিজেকেই পুরস্কৃত করতে পারেন৷ খুব আনন্দ করে এক গ্লাস গরম চকলেট ড্রিঙ্ক পান করে কিংবা বিশাল একটি হ্যামবার্গার অথবা চারটে পছন্দের রসগোল্লা বা মিষ্টি খেয়ে৷

নিলা চাকমা/চখ

এই বিভাগের আরও খবর