chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সরকারি দলের নির্লিপ্ততাই প্রমাণ করে তারা ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে : ডা. শাহাদাত

নিজিস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সারাদেশে এখন করোনাকাল চলছেএই করোনা কালও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন, বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারি দলের নির্লিপ্ততাই প্রমাণ করে, তারা ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে

আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন

ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, দেশে আইনের শাসন, বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলায় ভয়াবহ ধ্বস নেমেছে, এতে দেশের নারী সমাজ ও অভিবাবক মহলে আতংক ও অসহায়ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও নাগরিক নিরাপত্তা কত ভয়াবহ মাত্রায় ভেঙে পড়েছে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান ও নিরাপত্তা কতটা অসহায় ও জঘন্য রূপ নিয়েছে, বেগমগঞ্জ, সিলেট, খাগড়াছড়ি, সীতাকুণ্ড, পটিয়া’সহ গোটা দেশের নিত্যদিনকার ধর্ষণ ও খুনাখুনির ঘটনা তার প্রমাণ বহন করে।ধর্ষণ যেন সারাদেশে মহামারির রূপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার কারণে আজ দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নেই। আইন শুধু বিরোধী দলের জন্য প্রয়োগ হয়। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করতে গেলেও সরকার প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিএনপিকে। অন্যদিকে সরকারি দলের কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এই হচ্ছে এই সরকারের দ্বৈতনীতি। সরকারি দলের জন্য এক আইন, বিরোধী দলের জন্য আরেক আইন। এই সরকার একদলীয় শাসনের মাধ্যমে দেশকে অঘোষিত বাকশালী রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। দেশের মানুষের কষ্টার্জিত স্বাধীনতার আজ আর নেই। এই সরকার দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার হরণ করেছে। প্রতিনিয়ত  খুন, ধর্ষণ, মামলা- হামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে এদেশের সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারনেও বিশ্বদরবারে সরকার এই দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, এই সরকার’ হচ্ছে একটি স্বৈরাচার সরকার। এই করোনা কালীন সময়েও সাধারণ মানুষ এই সরকারের জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ওয়ার্ড এর প্রতিটি ইউনিটকে শক্তিশালী করতে হবে। দেশের মানুষের গণতন্ত্র ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকলকে এগিয়ে এসে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

৪০ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ হারুন এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনজুর কাদের এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  নগর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মিয়া ভোলা, ভিপি নাজিম উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কামরুল ইসলাম, মো. মুজিবুল হক, পতেঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ডা. নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন, আরো উপস্থিত ছিলেন আবু জাফর, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ ছারের, মোহাম্মদ লোকমান, শহিদুল ইসলাম রানা, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহজাহান, যুবদল নেতা মোহাম্মদ জাহিদ, আশরাফ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এসএএস/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর