উচ্চমাধ্যমিকে ফের শরৎচন্দ্রের ‘বিলাসী’
ডেস্ক নিউজ: কয়েক বছর পর পর সিলেবাস পরিবর্তন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে আবার যুক্ত হয়েছে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিলাসী’ গল্পটি।
জানা গেছে, উচ্চমাধ্যমিকে র ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এ বছর বাদ পড়েছে বেশকিছু গল্প ও কবিতা। গদ্যের মধ্যে বাদ পড়েছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিড়াল’, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ‘চাষার দুক্ষু’, মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘জীবন ও বৃক্ষ’ এবং আনিসুজ্জামানের ‘জাদুঘরে কেন যাব’।
পদ্যের মধ্যে বাদ পড়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ঐকতান’, কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’, জীবনানন্দ দাশের ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’, আহসান হাবীবের ‘সেই অস্ত্র’, আল মাহমুদের ‘লোক-লোকান্তর এবং দিলওয়ারের ‘রক্তে আমার অনাদি অস্থি’।
‘বিলাসী’ ছাড়াও নতুন সিলেবাসে পাঠ্যভুক্ত হয়েছে ১২টি গদ্য।
সেগুলো হলো- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বাঙ্গালার লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অপরিচিতা’, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ‘গৃহ’, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আহ্বান’, কাজী নজরুল ইসলামের ‘আমার পথ’, আবুল ফজলের ‘মানব-কল্যাণ’, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাসি-পিসি’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বায়ান্নর দিনগুলো’, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রেইনকোট’, মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘মহাজাগতিক কিউরেটর এবং গী দ্য মোপাসাঁর নেকলেস’।
এ বছরের পাঠ্য হিসেবে নির্ধারিত ১২টি পদ্য হলো- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’, জসীম উদ্দীনের ‘প্রতিদান’, জীবনানন্দ দাশের ‘সুচেতনা’, সুফিয়া কামালের ‘তাহারেই মনে পড়ে’, ফররুখ আহমেদের ‘পদ্মা’, সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘আঠারো বছর বয়স’, শামসুর রাহমানের ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘নুরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ এবং আবু হেনা মোস্তফা কামালের ‘ছবি’।
এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, ‘এটা শিক্ষাবিজ্ঞানেরই অংশ এবং সারা পৃথিবীতেই এটা করা হয়। সাহিত্যপাঠ বইটির ট্রাই আউট করেছি আমরা ২০১৮ সালে। তার আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দুজন অধ্যাপককে দিয়ে আমরা পুরো বইটি পরিমার্জন করিয়েছি। তখনই কিছু লেখা বাদ গেছে, কিছু যুক্ত হয়েছে।’
এমআই/চখ