ডেস্ক নিউজ: আগামীতে মিউচুয়াল ফান্ড খাত শেয়ারবাজারের মেরুদণ্ডে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাজার মূলধনের ২০ শতাংশ হবে এই খাতের, যা বাস্তবায়নে আমাদের অনেক সুযোগ আছে।
শনিবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডস (এএএমসিএমএফ) আয়োজিত ‘শেয়ারবাজার ও দেশের অর্থনীতিতে মিউচুয়াল ফান্ডের গুরুত্ব’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন এএএমসিএমএফের সভাপতি ড. হাসান ইমাম।
মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো কাঙ্ক্ষিত সফলতা পায়নি। যদিও বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে মন্দা অন্যান্য দেশের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী ছিল। কিন্তু নানা সুযোগ থাকলেও দেশের ফান্ড ম্যানেজাররা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের কাছে জবাবদিহিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান কমিশন আইন-কানুন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই কমিশন চায় অর্থনীতিতে শেয়ারবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখুক।
বিএসইসির কমিশনার বলেন, দেশের মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ২০০১ সালের একটি আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বিদ্যমান আইনে ফান্ড ম্যানেজারদের বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। ওই আইনে ৪০ শতাংশ তালিকাভুক্ত কোম্পানি, ৩০ শতাংশ ডিবেঞ্চারসহ অন্যান্য পণ্য এবং বাকি ৩০ শতাংশ অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ ছিল।
‘শিক্ষিত বিনিয়োগকারী হিসেবে ফান্ড ম্যানেজাররা মাকের্টের গতিবিধি বুঝতে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারেনি। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ফান্ডগুলো থেকে বিনিয়োগকারীরা কাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশ পায়নি।’
ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাফিজ আল তারিক।
এমআই/চখ