নিজস্ব প্রতিনিধি : রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী কালুরঘাট সেতুর দৃশ্যমান নির্মাণ কাজ শুরু হবে আগামী বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে। তিনি বলেন, এটি নির্মাণে সৃষ্ট সকল জটিলতা ইতিমধ্যে কেটে গেছে।
আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় কালুরঘাট সেতু ও নতুন সেতুর জায়গা পরিদর্শণ শেষে এক পথ সভায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, রেল এবং সড়ক একসঙ্গেই হবে। সড়কটি হবে ডাবল লাইনের। প্রায় ১৯ ফুট চওড়া সড়কটিকে একদিকে গাড়ি যাবে এবং অন্যদিকে গাড়ি আসবে। আর অর্ধেক অংশে থাকবে রেল।
তিনি বলেন, নানান জটিলতার কারণে সেতু নির্মাণের কাজ দীর্ঘসূত্রতায় পড়েছিলো। তবে সকলের আন্তরিকতায় সব জটিলতা নিরসন হয়েছে। প্রস্তাবিত সেতুতে ডাবল সড়ক ও দুই লাইন বিশিষ্ট রেল লাইন (ব্রডগেজ) থাকবে।
প্রস্তাবিত সেতু নির্মাণে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন ও মানুষের মাঝে সেতু নিয়ে যে দ্বিধা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে তা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ সফর করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ সেতুর উচ্চতা নিয়ে নৌ অধিদপ্তরের যে আপত্তি এসেছে তা অচিরেই অভ্যন্তরীণ বৈঠকেই সমাধান করা হবে।
তাছাড়া এ সেতুটি নির্মাণ করতে গিয়ে যাতে দুর্নীতি না হয় সেদিকটাই লক্ষ্য রেখে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান, রেলওয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রণব চন্দ্র ঘোষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আমিন চৌধুরী।
চখ/রাজীব