অটিস্টিক শিশুদের সাধারণ বিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়ার আহ্বান শিক্ষা উপমন্ত্রীর
ডেস্ক নিউজ : দেশের সাধারণ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত অটিস্টিক শিশুদের ভর্তি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে সিআরপি আয়োজিত ‘সেরিব্রাল পালসি ডে, ২০২০’ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুরা শারীরিকভাবে অক্ষম হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানসিকভাবে সক্ষম হতে পারে। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব শিশুর স্বাভাবিক কাজে অংশ নেওয়ার মতো সক্ষমতা তৈরি করা সম্ভব। এসব শিশুর সাধারণ বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ করে দিতে হবে। আমাদের বিধিবিধান রয়েছে, তবে শিক্ষকদের এ বিষয়ে সচেতনতা নেই এবং দক্ষতাও নেই। সে কারণে প্রশিক্ষণের জন্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ (নান্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। নান্ডে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। বিশেষভাবে দক্ষ শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে শিক্ষকদের জানতে হবে। কীভাবে সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি এসব শিশুকে শিক্ষা দিতে হবে, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন রয়েছে।’
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন সূচনা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এসব শিশুকে কীভাবে শিক্ষা দেওয়া যাবে তার একটি গাইডলাইন তৈরি করেছেন। এই গাইডলাইন বাংলা অনুবাদের কাজ চলছে এবং তা শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।’
কোনও সীমাবদ্ধতার কারণে কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে জন্য বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে।
পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) প্রতিষ্ঠাতা মিস ভেলোরি এ টেইলর, সিআরপির নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলামসহ এ অনলাইন আলোচনা সভায় আরও যুক্ত ছিলেন সেরিব্রাল পালসি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শাহীন আক্তার প্রমুখ।
ডাক্তার শাহীন আক্তার বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৬৮ হাজার সেরিব্রাল পালসি রোগী রয়েছে। এ সমস্যা কেন হয় এখনও জানা যায়নি। তেমন কোনও চিকিৎসাও নেই। এ ধরনের শিশুকে বিশেষভাবে টেক কেয়ার করতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ২০০ জন সেরিব্রাল পালসি ব্যক্তি এসএসসি পাস করেছে।
এসএএস/