chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নগরীর সৌন্দর্যের অলঙ্কার লুটপাট হতে দিতে পারি না: সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম এক প্রাকৃতিক নগরী। পাহাড়-নদী-সাগর এই নগরীর সৌন্দর্যের অলংকার। আমি নগরীর সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাই। কিন্তু এরই আড়ালের নগরীর সৌন্দর্যের অলঙ্কার লুটপাট হতে দিতে পারি না।

আজ সোমবার দুপুরে টাইগারপাসের নগরভবনের চসিক সম্মেলন কক্ষে সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিস্ট ঠিকাদারদের একটি প্রতিনিধি দরের সাথে সাক্ষাতকালে এই কথা বলেন।

এসময় সুজন বলেন, সৌন্দর্যবধন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ,বসারস্থানসহ যাত্রী ছাউনি  স্থাপন, ফুটপাতে টাইলসসহ বাগান করা, রাস্তার মিড আইলেন্ড সৌন্দর্য্যবর্ধন করা এবং বিভিন্ন স্থানে নানান প্রজাতির ফুলের গাছসহ অন্যান্য গাছ লাগানো  ইত্যাদি সৌন্দর্যবর্ধক কাজ করা। কিন্ত দুঃখের বিষয় হলো চুক্তি বর্হিভুত দোকান ও বিলবোর্ড স্থাপন করতে দেখা যাচ্ছে, যা কারো কাম্য হতে পারে না। অর্থাৎ সৌন্দর্য বর্ধনের আড়ালে সৌন্দর্য্যের অলংকার চুরি হলে চুক্তি বাতিল হবে।

তিনি বলেন, জনগণ এবং পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। প্রশাসক বলেন, সবার চোখটাকে একটু সুন্দর করেন, তাহলে এ শহরের চিত্র পালটে যাবে। যেহেতু আমরা সবাই এ শহরে বসবাস করি সেহেতু আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। এই দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদের এ শহরের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সুন্দর্যবর্ধনের নামে অসুন্দর্যের চর্চা কেউ করবেন না। জীবনে উন্নীত করতে হলে প্রফেশনাল হতে হবে। কোন অন্যায়কে আমি প্রশ্রয় দিব না। এ শহরকে একটি নান্দনিক শহরে রুপান্তরিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সঠিক সময়ে কার্যসম্পাদন করার জন্য প্রশাসক তাদের আহবান জানান।

এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগরপরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আল ইশরাক রফিক, প্রকৌশলী সৌরভ বড়ুয়া, মো. আলী তালুকদার, মো. সাজ্জাদ হোসেন, রূপন চৌধুরী, মো. ফয়সাল ইসলাম, আবদুল রকিব, মো. আনোয়ার হাসান, এ কে এম আশরেকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এসএএস/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর