chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পুলিশের হাতে আটক রাহুল গান্ধী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতীয় কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধীকে গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা’র।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান রাহুল গান্ধী। তার আগে পথের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে রাহুলের তর্কাতর্কি শুরু হয়। কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার রাহুলকে বলেন, ‘আপনি ১৪৪ ধারা ভাঙছেন।’

গ্রেফতারের আগে তাকে গলাধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। এক প্রকার ধস্তাধস্তির পর রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে একটি সাদা রঙের মাহিন্দ্রা বোলেরো গাড়িতে তুলে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দ্রুতগতিতে স্থান ত্যাগ করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

গাড়িটি পুলিশের। তার গায়ে লেখা, ‘বিটা ২’। দেখা যায়, সেই গাড়ির চালকের পাশের আসনে মুখে মাস্ক পরে বসে আছেন রাহুল। গাড়ির পাদানির উপরে ঝুলছেন দুই সাফারি পরিহিত নিরাপত্তারক্ষী। পিছনের আসনে ছিলেন প্রিয়ঙ্কা এবং রণদীপ সুরজেওয়ালা।

গাড়ির পিছনের দরজা খোলা। সেখান থেকে ঝুলছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক কনস্টেবল। সেই গাড়ির পাশাপাশি ছুটতে দেখা যায় আরও কিছু এসইউভি-কে। অনুমান করা হচ্ছে, সেগুলি কংগ্রেস নেতাদেরই গাড়ি।

অন্যদিকে, কিছু কংগ্রেস কর্মী রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন। যতক্ষণ না রাহুলকে ছাড়া হচ্ছে ততক্ষণ তারা অবরোধ তুলবেন না বলে জানানো হয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে একটি গেস্টহাউসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এ দিন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীসহ কংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের প্রতিনিধি দলের একটি কনভয় হাথরসের পথে রওনা হয়। মাঝপথে তাদের প্রথমে আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু নাছোড় বান্দা রাহুল-প্রিয়ঙ্কাও। তারা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হেঁটেই রওনা দেন হাথরসের দিকে।

রাহুল-প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ হাইওয়ের উপরেই তাদের কনভয় আটকে দেওয়া হয়।

আগে থেকেই রাহুল-প্রিয়ঙ্কা ঘোষণা করেছিলেন হাথরসে যাওয়ার কথা। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার ১৪৪ ধারা জারি করে রাজ্য সরকার। তাতেও কর্মসূচি বাতিল করেননি কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা। যে স্থান থেকে তাদের গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয় সেখান থেকে হাথরসের দূরত্ব প্রায় ১৪০ কিলোমিটার। সেখান থেকে কিছু দূরে এগোনোর পরেই রাহুল-প্রিয়ঙ্কাদের আটকায় পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অজুহাত, কোভিডের কারণেই রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। সেই কারণেই রাহুল-প্রিয়ঙ্কার কনভয় আটকানো হয়েছে।

এমআই/

এই বিভাগের আরও খবর