chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বন্দরজুড়ে পঁচা মাংসের তীব্র দুর্গন্ধে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ, ইগলু ফুডকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত থেকে এক কনটেইনার মহিষের মাংস আমদানি করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হচ্ছে ঢাকার সিআর দত্ত সড়কে অবস্থিত ইগলু ফুডস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে।

একই সাথে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ওই কন্টেইনারটি খালাসের দায়িত্ব নিয়ে একই সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা দিতে হচ্ছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্ণফুলী লিমিটেডকেও।

আমদানিকরা কনটেইনারে থাকা পঁচা মাংসের তীব্র দুর্গন্ধ চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে এ অর্থদণ্ড দেন পরিবেশ অধিদপ্তর। তাছাড়া মহিষের মাংসগুলো খালাসের জন্য তিন দফা নির্দেশনাও দেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

গতকাল বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা যায়।

জানা গেছে, ভারত থেকে কনটেইনারভর্তি মহিষের মাংস আমদানি করে ঢাকার ইগলু ফুডস লিমিটেড। চট্টগ্রাম বন্দরে সে কনটেইনারটির খালাসের দায়িত্ব পেয়েছিলো সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্ণফুলী লিমিটেড।

কিন্তু পণ্য খালাসের আগেই কনটেইনার থেকে পঁচা মাংসের তীব্র দুর্গন্ধ চট্টগ্রাম বন্দরজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহিত করে।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক নুরুল্লাহ নুরী চট্টলার খবরকে বলেন, বন্দরে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ানোর বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের অবহিত করার পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর আমাদের একটি টিম সেখানে যায়।

এসময় ইগলু ফুড নামক একটি প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা একটি কনটেইনারে থাকা মহিষের মাংস থেকে পুরো বন্দর জুড়ে দুর্গন্ধ ছড়ানোর বিষয়টি শনাক্ত করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের কর্মকর্তারা।

পঁচে যাওয়া মাংস থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় আমদানিকারক ও কনটেইনারটি খালাসের দায়িত্বে থাকা সিএন্ড এফ এজেন্টকে শুনানিতে তলব করা হয়।

তিনি বলেন, শুনানিতে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি কনটেইনার থেকে মহিষের মাংস খালাসের জন্য তিনটি নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো কনটেইনার থেকে পঁচা মাংস এমনভাবে খালাস করতে হবে যাতে কোনো প্রাণী সেটা খেতে না পারে। পঁচা মাংস থেকে মাটি, পানি ও বাতাসে যেন দূষণ না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এরপর পরিবেশ সম্মত উপায়ে কনটেইনারটি পরিষ্কার করতে হবে।

চখ/রাজীব

এই বিভাগের আরও খবর