মিমি সুপার মার্কেটের আড়াই শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের অভিজাত শপিং মল মিমি সুপার মার্কেটের আড়াই শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগ। ভ্যাট নিবন্ধন না করা, প্রকৃত বিক্রয় অনুযায়ী রিটার্ন ও ভ্যাট না দেয়া এবং দৃশ্যমান স্থানে ভ্যাট সনদ ঝুলিয়ে না রাখার অভিযোগে রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এসব মামলা হয়।
ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আইনের বিধান অনুসারে নিবন্ধন গ্রহন না করায় মার্কেটের ২০৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। একইসাথে নিবন্ধিত ৬০টির মধ্যে ৫০টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন সনদ ঝুলিয়ে না রাখায় ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে।
অনিবন্ধিত ২০৩টি মামলা দায়েরের অভিযোগের পাশাপাশি ব্যবসার শুরু থেকে তাদের প্রকৃত খরচের ভিত্তিতে পূর্বের ফাঁকিকৃত ভ্যাট হিসাব করে বকেয়া ও মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদসহ জরিমানা আদায়ের জন্য চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ভ্যাট আইনে দায়েরকৃত মোট ২৫৩টি মামলা আইনানুগভাবে ন্যায়নির্ণয়নের জন্য ইতোমধ্যে অভিযোগসমূহ সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে ভ্যাট গোয়েন্দা দল গত ৭ সেপ্টেম্বর মিমি সুপার মার্কেটে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে। জরিপে দেখা যায় , অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নতুন ভ্যাট আইনের অন্তর্ভূক্ত হয়নি। অল্প সংখ্যক প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন নিলেও বেশিরভাগ আইন প্রতিপালন করছে না। মার্কেটে ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নতুন আইনে নিবন্ধিত হয়েছে মাত্র ৬০টি। অবশিষ্ট ২০৩টির নিবন্ধন নেই। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাটও দেয় না। এরা ক্রেতার নিকট থেকে ভ্যাট আহরণ করলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা দেয় না।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী বাধ্যবাধকতা থাকলেও এই ২০৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থানীয় ভ্যাট অফিসে দাখিলপত্রও দেয় না। এতে দেখা যায়, তারা আইন ভঙ্গ করে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
জরিপে দেখা যায়, শপিংমলের ৬০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনভূক্ত হলেও অনেকে প্রকৃত বিক্রয় অনুযায়ী রিটার্ন ও ভ্যাট পরিশোধ করছে না। এদের মধ্যে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট সনদ ঝুলিয়ে রেখেছে। অবশিষ্ট ৫০টি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে দৃশ্যমান স্থানে ভ্যাট সনদ পাওয়া যায়নি। ভ্যাট আইন অনুযায়ী নিবন্ধন সনদ দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখা বাধ্যতামুলক যাতে ক্রেতা বুঝতে পারেন তিনি সঠিক স্থানে ভ্যাট দিচ্ছেন।
ভ্যাট গোয়েন্দাদের মতে, চট্টগ্রামের বড় শপিংমলের দোকানগুলোর মধ্যে ৭৮ ভাগই ভ্যাট দেয় না; দেশের অন্যান্য মার্কেট ও খুচরা পর্যায়েও এই চিত্র বিরাজ করছে।
এএমএস/