বোয়ালখালীতে প্রথমবারের মতো কেঁচো সারে স্বাবলম্বী কৃষক দেলোয়ার
নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক দেলোয়ার হোসেনের জীবন চিত্র বদলে দিয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) খামার। ইতিমধ্যে গত চার মাসে ৬ মন কেঁচো সার উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবেও স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি।
জানা যায়, প্রকৃতির লাঙ্গল হিসেবে পরিচিত কেঁচো এবং গোবরই ভার্মি কম্পোস্টের প্রধান উপকরণ। পাকা মেঝেতে সিমেন্টের তৈরি রিং, স্লাব দিয়ে পাকা রিং স্থাপন করে প্রাকৃতিক পচনশীল জৈব উপাদান গোবর, মাটি, খড়, তরকারির খোসার সঙ্গে কেঁচো ছেড়ে চটের বস্তা দিয়ে এক মাস ঢেকে রাখলেই তৈরি হয় উন্নত মানের ভার্মি কম্পোস্ট তথা কেঁচো সার।
এভাবে ১৮টি পাকা রিং স্থাপন করে বাণিজ্যিকভাবে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেছেন কৃষক দেলোয়ার হোসেন। এ পদ্ধতিতে প্রতি তিন মাস অন্তর কেঁচোর বংশ বৃদ্ধি হয় বলে জানা গেছে।
এনএফএলসিসি প্রকল্পের আওতায় ও উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় নিজস্ব খামারে প্রথম তিন মাসের উৎপাদিত এ সার বিক্রি করে দেলোয়ার আয় করেছেন ৩ হাজার টাকা। পাশাপাশি নিজের ধান ও সবজি ক্ষেতে এ সারের ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় ভালোমানের ২ কেজি কেঁচো সংগ্রহ করে এ খামার শুরু করেছি গত এপ্রিল মাসে। গত চার মাসে সময়ের মধ্যে ৬ মণ কেঁচো সার উৎপাদন করতে পেরেছি। এর মধ্যে ৪ মণ বিক্রি করে ৩ হাজার টাকা মুনাফা লাভ হয়েছে। বাকি ২ মণ নিজের ধান ও সবজি চাষে ব্যবহার করে ভাল ফলন পাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, ফসলের উৎপাদন বাড়াতে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ব্যবহার করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। এ সার জমির উর্বর মাটি তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
রাসায়নিক সারের চেয়ে কেঁচো সারের ব্যবহারে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় ফলনও ভালো হয়। কেঁচো সারের উপকারিতা সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি অফিস।
চখ/রাজীব