নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জামিনে থাকা সত্ত্বেও সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠাচ্ছে। বর্তমানে করোনা ঝুঁকির মধ্যেই নেতাকর্মীরা কারাগারে দিনাতিপাত করছে। মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠিয়ে সরকার হিংস্র আচরণ করছে। সবকিছুর একদিন শেষ হবে, অন্যায় অত্যাচারের দিন শেষে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবেই। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে নাশকতার মামলায় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সামনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আর সে নিবার্চনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আতঙ্কিত রেখে রাতের ভোট করার কৌশল হিসাবে এখন থেকে সরকারের নির্দেশনায় বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। মামলা হামলা করেই সরকার আবারো বিনাভোটের নিবার্চন করার পাঁয়তারা করছে। এবার সজাগ হয়েছে চট্টগ্রামবাসী। কোনোভাবেই রাতের আঁধারে দলীয় সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন সরকারকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। জেল জুলুম বন্ধ করা না হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। সরকারকে কঠোর হাতে জবাব দেওয়া হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এডভোকেট আবদুস সাত্তার, এডভোকেট সাত্তার সরোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মনজু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, হকার সম্পাদক আবদুল বাতেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ শ্রম সম্পাদক আবু মুছা, সহ প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হাই, সালাউদ্দীন লাতু, মো. আসলাম, ইলিয়াস চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল ও আবুল কালাম আবু, নগর ছাত্রদলের সহসভাপতি জসিম উদ্দীন চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।