বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রামে জনদুর্ভোগ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
বৃষ্টি থাকবে আরো দুইদিন
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে নগরীর বেশ কিছু নিচু এলাকা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সকালে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরসহ দেশের তিনটি সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টিপাত আরও দুইদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
চট্টগ্রামে গতকাল সোমবার সারাদিন থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার ভোর থেকে ফের আকাশ কালো করে শুরু হয় অকাল বর্ষণ। বেলা ১২ টা পর্যন্ত কখনো থেমে থেমে আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হতে থাকে।এতে নগরীর বেশ কিছু নিচু এলাকায় জলজটের সৃষ্টি হয়।
চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জ, বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, প্রবর্তক মোড়, ২ নাম্বার গেইট, পাথরঘাটাসহ নগরীর নিচু এলাকায় জলজটের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ, কোচিং বন্ধ থাকলেও অফিসগামী গণপরিবহন যাত্রী আর নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
আজ সকালে বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানিতে জলমগ্ন হয়ে যায় নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অসংখ্য রোগী ও তাদের স্বজনরা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি নেমে যায় বলে জানিয়েছেন মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. নুরুল হক। তিনি চট্টলার খবরকে বলেন, বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে তার সাথে জোয়ারের পানি মিশে মা ও শিশু হাসপাতালের নিচ তলায় পানি প্রবেশ করে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. শহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৪৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নগরীতে আরো দুইদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা নেই।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) এস এম জাকারিয়া চট্টলার খবরকে বলেন, এই বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএএস/