chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাস্তার পাশে দেড়শ বছরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, দুর্ঘটনার আশংকা এলাকাবাসীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা সংলগ্ন সতীশ বাবু লেইনের মুখে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাড়িয়ে আছে দেড়শ বছরের জরাজীর্ণ তিনতলা ভবন। ভবনের প্রতিটি দেয়ালে প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে পলোস্তারা। ছাদ চুঁয়ে গড়িয়ে পড়ছে বৃষ্টির জল।

আর এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে ২য় তলায় ভবন মালিকের তিন অবিবাহিত মেয়ে এবং নিচতলায় ছেলের বিধবা বউসহ বেশ কয়েকটি পরিবার এখনো বসবাস করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই।

অন্যদিকে সতীশবাবু লেইনের মুখে অবস্থিত দেড়শ বছরের পুরনো এ ভবনের পাশ দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করছে হাজার হাজার পথচারী। এ পথ ধরে চলাচল করতে গেলে প্রায়ঃশ আঁৎকে উঠছে পথচারীরা।

তিন রাস্তার মোড়টি ধরে হাটতে গিয়ে সকল যাত্রী ও পথচারিদের দৃষ্টি থাকে জরাজীর্ণ ভবনের দিকে। ফলে একদিকে সড়ক দুর্ঘটনা অন্যদিকে ভবন ধ্বসে পড়ার চরম ভয় মাথায় নিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে যেন দায়সারা ভাব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাথরঘাটা সতীশবাবু লেইনের মুখে অবস্থিত ধরণী চক্রবর্তীর দেড়শ বছরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে পথচারিকে নিরাপদে চলাচল করার পরামর্শ দিয়ে একটি সাইনবোর্ড ঝুঁলিয়ে যেন তাদের কর্তব্য সেরেছে।

অথচ ভবনটিতে এখনো কয়েকটি পরিবার বসবাস করছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচে বীরদর্পে বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে তা যেন দেখার আর প্রয়োজন মনে করছে না সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, ভবনটির মালিক ধরণী চক্রবর্তী তার ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর প্রেক্ষিতে সাত বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য অনুরোধ জানায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

তবে অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট কেউ ভবনটি ভাঙ্গার উদ্যোগ না নিয়ে শুধুমাত্র ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বাড়ির মালিকের অনুরোধ সত্ত্বেও বাড়িটি ভাঙ্গার উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ তলায় অবস্থানরত বেশ কয়েকজন দোকানদার করপোরেশনের কতিপয় ব্যাক্তিকে ম্যানেজ করে ভবনটি উচ্ছেদে বাধা দিচ্ছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে, এমন প্রশ্নও করেছেন এলাকাবাসী।

চখ/রাজীব..

এই বিভাগের আরও খবর