রোহিঙ্গা গণহত্যায় মুখ খুলেছেন আরো ২ সেনা সদস্য,পাওয়া গেছে নতুন ভিডিও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাখাইনে মোতায়েন থাকা আরও অন্তত দুই সেনা সদস্য।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দুই সৈনিকের আলোচিত জবানবন্দি প্রকাশের পর পাওয়া গেছে সেনাদের বক্তব্যের নতুন ভিডিও ফুটেজ। এই চারজনের বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করে রাখাইনের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
এমনিতেই রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে মিয়ানমারের দুই সেনা সদস্যের স্বীকারোক্তি নিয়ে তোলপাড় চলছে বিশ্বজুড়েই। সেনাবাহিনীর গণহত্যার চমকপ্রদ জবাদবন্দিতে তারা বলেছিলেন ‘তুমি যা দেখতে পাও, সব হত্যা করো’। রোহিঙ্গাদের দেখামাত্র এমন হত্যার নির্দেশ ছিল।
এবার সেদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইনে মোতায়েন থাকা তাদের আরও অন্তত দুই সৈনিক মুখ খুলেছেন। এরই মধ্যে আলোচনায় আসা, মিউ উইন ও জো নাইংসহ একসাথে, ভিডিওতে স্বীকারোক্তির চার সেনার মধ্যে দুজন এখন আছেন হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের জিম্মায়। বাকি দুজনও আন্তর্জাতিক আদালতে জবানবন্দি দেবেন বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, নতুন দুই সেনা সদস্যও জবানবন্দি দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। তারা হলেন- চ্যাও মিও অং এবং পার তাও নি। এর আগে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন জ নাইং তুন ও মায়ো উইন তুন।
প্রকাশ পাওয়া ভিডিওতে চার সেনা নতুন দুই সদস্যের মধ্যে তাও নি তার স্বীকারোক্তিতে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তারা বলতেন, এই দেশে ভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সবাই দাস। সন্ত্রাসী বাহিনীর মতো অস্ত্রের অপব্যবহার করে বেসামরিক জনগণের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
মিয়ানমানর সেনা সদস্য চ্যাও মিও অং বলেন, ঔপনিবেশিক বাহিনীর মতো বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠিকে নিপীড়ন করছে সেনাবাহিনী। বাহিনীর মধ্যেও জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হয়। অনেক কর্মকর্তাই মাদকাসক্ত। মাদকের পৃষ্ঠপোষকতাও করে তারা।
এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বিবিসি বার্মিজকে বুধবার বলেন, মায়ো উইন তুন এবং জ নাইং তুন সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য।
আরাকান আর্মি তাদের বন্দি করে হুমকিধমকি ও নির্যাতন করে সেনাসদস্যের কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করছে দাবী তার।
তবে ফোর্টিফাই রাইটসের সিও মাথিউ স্মিথ বলেন, এই প্রথম তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যকার কারও কাছ থেকে গণহত্যার খবর আমরা পাচ্ছি। তাদের কথায় স্পষ্ট, রোহিঙ্গাদের নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েই অভিযানে নেমেছিল মিয়ানমার সেনাবাহনী। বিচারের প্রক্রিয়ায় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চখ/রাজীব