chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কাতারবিরোধী অবরোধের ইতি ঘটছে: ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের দীর্ঘ তিন বছরের অবরোধের ইতি ঘটছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ অবরোধ শেষ হতে পারে বলে বুধবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত আলোচনায় এরইমধ্যে অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে নমনীয়তা দেখা গেছে।

তিন বছর আগে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে চার আরব দেশ। দীর্ঘদিন ধরেই দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো নয়। শুধু তাই নয়, কাতারের সঙ্গে জল, স্থল ও আকাশসীমাও বন্ধ করে দিয়েছে এসব দেশ।

ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শীর্ষ কূটনীতিক ডেভিড শেনকার অবশ্য জানিয়েছেন, আলোচনায় এখনো এমন কোনো মৌলিক পরিবর্তন হয়নি যাতে করে দ্রুত সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়া যায়।

ওয়াশিংটনভিত্তিক ব্রুকিংস ইন্সটিটিউট এর এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ ইস্যুতে কথা বলেন ডেভিড শেনকার। তিনি বলেন, আমি পুরো কূটনৈতিক আলোচনায় যেতে চাই না। তবে কিছুটা অগ্রগতি রয়েছে। আমার মনে হয়, অবরোধ উঠে যেতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ ইরানের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গঠনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধে ওই চেষ্টায় ফাটল ধরে। তেহরানের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়ার বদলে দোহার মতো প্রভাবশালী মিত্রের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে রিয়াদ। এমন বাস্তবতায় সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধ তুলে নেয়ার ব্যাপারে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও কুয়েত। দৃশ্যত ওই মধ্যস্থতা সফল হচ্ছে।

ওয়াশিংটন মনে করে এ অঞ্চলে তার মিত্রদের মধ্যে বিবাদ ইরানকেই লাভবান করবে। ফলে যে কোনো মূল্যে নিজের মিত্রদের ইরানবিরোধী একই প্ল্যাটফর্মে রাখতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন।

ডেভিড শেনকার বলেন, এখনো মৌলিক কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত আলোচনায় আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কাছ থেকে কিছুটা নমনীয়তা দেখতে পেয়েছি। ফলে আশা করছি আমরা উভয় পক্ষকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে পারবো এবং এই বিবাদের অবসান ঘটাতে সক্ষম হবো।

ডেভিড শেনকার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এই কূটনৈতিক উদ্যোগে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যুক্ত ছিলেন।

সৌদি-আমিরাত-ইসরায়েল বলয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প শুরুতে কাতারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত কৌশলগত দিক বিবেচনায় ওই অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটির অবস্থান কাতারে। ওয়াশিংটনের কাছে আল উদেইদ নামের এই ঘাঁটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা

এই বিভাগের আরও খবর