নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের কুতুবদিয়া বড়ঘোপ খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজস ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৯০ মেট্রিক টন সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আনা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- কুতুবদিয়া বড়ঘোপ খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চৌধুরী, গোদামের খন্ডকালীন পরিচ্ছন্ন কর্মী মো. শাহজাহান প্রকাশ মিন্টু, নিরাপত্তা প্রহরী নিজাম উদ্দিন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরের স্প্রে ম্যান মো. শাহজাহান (বর্তমানে কুতুবদিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরে নিযুক্ত), মেসার্স হিমায়ন সী-ফুডস এর প্রোপ্রাইটর ও কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার সিকদার মহল এলাকার জানে আলমের স্ত্রী দিলরুবা হাসান এবং মেসার্স মোহনা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর ও শহরের ঝাউতলা গাড়িরমাঠ এলাকার মাস্টার শফিকুর রহমানের ছেলে সেলিম রেজা।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারি পরিচালক রতন কুমার দাশ বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলার প্রধান আসামি খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন আগে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারি পরিচালক রতন কুমার দাশ। তিনি জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৯০ মেট্রিক টন সরকারি চাল, যার বাজার মূল্য ৮৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৭ টাকা। এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা। যা দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আফিফ আল মাহমুদ ভুঁইয়া গত ২৯ জুলাই কুতুবদিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। দুদকের তপসিলভুক্ত বিধায় অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই দশদিনে ঠিকাদার দিলরুবা হাসান ও সেলিম রেজার মাধ্যমে কক্সবাজার সদর এলএসডি থেকে ৩০২ মেট্রিক টন চাল বড়ঘোপ খাদ্য গোদামে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে ১৯০ মেট্রিক টন সরকারি চাল গুদাম থেকে আত্মসাৎ করা হয়।
এসএএস/