chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সন্তান বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হাসপাতালের বিল দেওয়ার জন্য সন্তান বিক্রির ঘটনা ঘটেছে ভারতে। ঘটনাটি ভারতের একটি স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে সন্তান জন্ম দেন রিকশাচালক শিবচরণের স্ত্রী ৩৬ বছরের ববিতা। হাসপাতালের বিল হয় মোট ৩৫ হাজার টাকা।

কিন্তু এত টাকা দেয়ার সাধ্য শিবচরণের নেই। তার দাবি, তখন হাসপাতাল প্রস্তাব দেয়, এক লাখ টাকায় সাত দিনের ছেলেকে বিক্রি করে দিতে। সেটাই তারা করেছেন।

এই দলিত দম্পতির অভিযোগের পর হইচই পড়ে যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে জেলাশাসক প্রভু এন সিং বলেছেন, এটা রীতিমতো গুরুতর ঘটনা। তদন্ত হবে। দোষীদের শাস্তি দেয়া হবে। কাউন্সিলার হরি মোহন বলেছেন, তিনিও শুনেছেন, বিল দিতে না পেরে ছেলেকে বিক্রি করতে হয়েছে।

শিবচরণ ও ববিতার পাঁচ সন্তান। তারা শম্ভু নগরে একটা ভাড়া বাড়িতে থাকেন। রিকশা চালিয়ে দিনে একশ টাকার বেশি পান না। তার ১৮ বছর বয়সী বড় ছেলে একটি জুতো তৈরির কারখানায় কাজ করত। লকডাউনের পর সেই কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। কোনো সরকারি কর্মী তাদের কাছে যাননি। কোথায় গেলে বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাওয়া যায়, সেটাও কেউ তাদের বলেনি। শিবচরণ টিওআকে বলেছেন, তারা সরকারি বিমা বা আয়ুষ্মান ভারতে নথিভুক্তও নয়।

শিবচরণ বলেছেন, ববিতার গর্ভযন্ত্রণা শুরু হওয়ার পর তারা হাসপাতালে যান। সিজারিয়ান হয়। কিন্তু তাদের কাছে বিল দেয়ার টাকা ছিল না। তারা কেউ লেখাপড়া জানেন না। তাই যেখানে সই করতে বলা হয়েছে, সেখানে তারা টিপছাপ দিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল তাদের কোনো বিল বা কাগজ দেয়নি।

এক লাখ টাকায় ছেলে বিক্রি করে তারা চলে এসেছেন। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দাবি, এভাবে সদ্যোজাত শিশু পেলে কিছু দম্পতি টাকা দিয়ে দত্তক নেন। এই ধরনের ঘটনা তাই চালু আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, কেউ কোনো জোর করেনি। শিবচরণই বাচ্চাকে স্বেচ্ছায় ফেলে রেখে চলে গেছে। এ নিয়ে হাসপাতাল এবং শিবচরণ ও ববিতার মধ্যে লিখিত চুক্তি হয়েছে।

ববিতা এখন ছেলে ফেরত চান। তিনি বলেছেন, তার কিছু টাকা দরকার ছিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো, গর্ভবতীদের জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প আছে। স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তাদের কাছে এই সাহায্য পৌঁছে দেয়। সে সব কিছুই কেন করা হলো না?

এমআই/

এই বিভাগের আরও খবর