কে জানতো, মাত্র তিন বছরের মাথায় ছেলেটি মায়ের বুকে ফিরবে লাশ হয়ে?
চট্টলার খবর ডেস্ক : মাত্র ২৩ বছরের টগবগে যুবক সৈয়্যদ মোহাম্মদ নেওয়াজ উদ্দিন। রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের বদুপাড়া গ্রামে তার জন্মস্থান।
মৃত জানে আলমের দুই ছেলে ও এক মেয়ের সর্ব কণিষ্ট ছেলে নেওয়াজ পরিবারের হাল ধরতে শ্রমিক হিসেবে কাজ নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ব্যবসায়ী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের মালিকানাধীন ইনকনট্রেন্ড ডিপোতে।
আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে পতেঙ্গার লালদিয়ার চর এলাকার ওই ডিপোতেই আজ চিরতরে ঘুমিয়ে গেছে নেওয়াজ উদ্দিন।
ডিপোতে গাড়ির তেলের ট্যাংক ওয়েল্ডিং করার সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় যে ৩ শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেছে তাদেরই একজন নেওয়াজ। রাউজানের তার বাড়িতে চলছে এখন শোকের মাতম।
পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন নিহতের পরিচয় ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নিহতের মামাত ভাই কাজী শিহাব উদ্দিন ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত ১০ বছর পূর্বে বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের হাল ধরতে গত তিন বছর পূর্বে গাড়ীর কর্মজীবন শুরু করেন নেওয়াজ। সেখানে গাড়ীর মেকানিক হিসেবে কাজ করতো সে। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে আহাজারিতে ফেটে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা। বাবার মৃত্যুর পর লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে পরিবারের অভাব মোচনের যেই স্বপ্ন নিয়ে তিন বছর পূর্বে কর্মজীবনে পা রেখেছিল।
কে জানতো! মাত্র তিন বছরের মাথায় ছেলেটি মায়ের বুকে ফিরবে লাশ হয়ে। এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত নেওয়াজের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকে আচ্ছন্ন তার গ্রাম।
রাজীব/চখ