chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ফেসবুকে বন্ধু বাস্তবে ওরা ছিনতাই ও অপহরণকারী!

চট্টলার খবর নিউজ ডেস্ক : সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি এলাকার একটি স্টিল কোম্পানীতে বাবুর্চির কাজে নিয়োজিত মো. রুবেল (৩২)। কাজের ফাঁকে মোবাইলের ফেসবুক আইডিতে রুবেলের সাথে বন্ধুত্ব হয় সাতকানিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. সাহেদের সাথে।

বন্ধুত্ব বেশ চলছিলো। দুজনের মধ্যে আলাপ চারিতায় সাহেদ রুবেলকে জানাই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজার তামাককুণ্ডি লেইনে। সে চট্টগ্রামেই থাকে। সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম আসলে রুবেল যেন তার সাথে দেখা করে।

গতকাল ১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রুবেল শহরে আসে। তার কাজ শেষে বিকেলে মিউনিসিপ্যাল স্কুলের সামনে এসে সাহেদকে ফোন দেয় রুবেল। ফোন পেয়ে সাহেদ তার আরো ২ সহযোগীসহ রুবেলের সামনে আসে। তবে বন্ধু হিসেবে নয়, সাহেদ আসে ছিনতাইকারী ও অপহরণকারী রুপে।

তিনজন মিলে রুবেলকে ছোরার ভয় দেখিয়ে নিয়ে যায় তামাকুমন্ডি লেইনস্থ আব্দুল লতিফ মার্কেট প্রকাশ লবণ মার্কেটের ৭ম তলায় ৭১৩ নং রুমে। তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল সেট ও নগদ ১৬শ’ টাকা। শুধু তাই নয়, রুবেলকে একটি রুমে বেঁধে রেখে তার বোনের স্বামীর মুঠোফোনে রুবেলের ফোন থেকেই ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে চাওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা।

ফেসবুকের বন্ধুত্বের আড়ালে ভয়ংকর এ ছিনতাইকারী ও অপহরণকারী গ্রুপটির মুখোশ উন্মোচন করেন নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তামাকুমন্ডি লেইন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত তিন অপরাধী হলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা শুয়ার বাপের বাড়ীর আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সাহেদ (১৮), হাটহাজারী উপজেলার চিপাতলি সিকদার বাড়ির মো. মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (৩৫) ও চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া দিঘীর পাড়ের আব্দুল হামিদের ছেলে গোলাম মোস্তফা (২৪)।

আজ বুধবার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়-চেষ্টার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসব মুখোশধারী অপরাধীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, রুবেলের সাহসিকতা ও ব্যবসায়িদের সহযোগীতায় আজ মুখোশধারী এ তিন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। রুবেল প্রথমে অপরাধীদের হাত থেকে পালিয়ে ওই মার্কেটের একটি শাড়ির দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং ঘটনার বিস্তারিত তাদের খুলে বলেন।

ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে ওই তিন অপরাধীকে আটক করে ৯৯৯ তে ফোন করে পুলিশের কাছে আইনী সহায়তা চান। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিন অপরাধীকে থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুবেল নিজে বাদী হয়ে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানায় ওসি মহসীন।

রাজীব/চখ

এই বিভাগের আরও খবর