বায়েজিদে ধর্ষণের দায়ে ৪ জন আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরের বায়েজিদ থানা এলাকা থেকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৩০ আগস্ট) বায়েজিদ থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- অক্সিজেন সৈয়দ পাড়ার শফি কমিশনারের বাড়ির মৃত কালা মিয়ার ছেলে মোঃ বাদশা মিয়া (৩৬), সৈয়দ পাড়া রফিক মিয়ার ভাড়া ঘরের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ জাবেদ(২৮), মাইজপাড়া ডাক্তার কলোনীর মোঃ রফিকের ছেলে মোঃ রবিন(১৯) ও পূর্ব শহীদ নগর সালমার কলোনীর মোঃ ইউসুফের ছেলে মোঃ ইব্রাহীম (৩০)। এরা সকলেই বায়েজীদ থানাধীন অক্সিজেন ও তার আশপাশের বসবাসকারী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী ওই নারী তার স্বামীকে সাথে নিয়ে তার স্বামীর ফুফুর বাসায় দাওয়াত খেতে যান। সেখান থেকে ফিরার পথে পথ অবরোধ করে এজাহার নামীয় আসামিরা তাদের গন্তব্যস্থল সম্পর্কে জানতে চায়। তখন তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেয় এবং বাসায় যাচ্ছে বলে জানায়। আসামিরা তাদের কাবিন নামা দেখতে চায়। পরে ওই ভুক্তভোগী দম্পতি কাবিননামা সাথে না থাকাতে দেখাতে না পারায় ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এতে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তার স্ত্রীকে সিএনজি যোগে তুলে নিয়ে জনৈক সালমার ভাড়া ঘরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এর আগে তারা ভুক্তভোগী নারীর স্বামীকে সিএনজির সাথে বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে কৌশলে ওই নারীর স্বামী নিজেকে রক্ষা করে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে নিকটস্থ বায়েজিদ থানার পুলিশ একটি টহল দল তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে।
এর আগে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী তার স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার একজন আসামি এখনও পলাতক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঘটনার দিন উদ্ধারকারী অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন বড়ুয়া শাপলা চট্টলার খবরকে জানান, ঘটনার দিন রাত্রিকালীন ডিউটি করছিলাম। পরে থানা থেকে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে এক ভুক্তভোগীর সাহায্যের প্রয়োজন বলে জানানো হলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ জন আসামি আটকপূর্বক ভিক্টিমকে উদ্ধার করি। পরবর্তীতে থানা এলাকার সম্ভাব্য সকল জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে এই মামলার আরও ২ আসামিকে আটক করি। একজন পলাতক আছে। তাকে আটকের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার পরিত্রাণ তালুকদার জানান, এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ আসামি আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর শনাক্ত মতেই আসামিদের আটক করা হয়েছে। তবে কি কারণে ধর্ষণের মত এমন ঘটনা তারা ঘটিয়েছে সেটি নিশ্চিত নই। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আসা করি শীঘ্রই রহস্য উন্মোচিত হবে।
কামরুল/চখ