chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিকভাবে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন’

ডেস্ক নিউজ: সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার, তা তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই উপলব্ধি করতেন। বঙ্গবন্ধু কখনোই পাকিস্তানে বিশ্বাস করেননি। বঙ্গবন্ধু শুধু রাজনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন তা নয়, তিনি অর্থনৈতিক মুক্তিতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এটা আমরা যদি তার রাজনীতি ও অর্থনীতির দিকে তাকাই তাহলে স্পষ্টভাবে উপলদ্ধি করতে পারব। বঙ্গবন্ধু যখন সুযোগ পেয়েছেন তখনই তিনি বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিকভাবে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন।

শনিবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

অনলাইনে আয়োজিত এ সভায় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ সারা দেশের চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনের ২০০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান ও মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচনায় আরও অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এম এ কাশেম, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মীর নাসির হোসেন, এ কে আজাদ এবং আব্দুল মাতলুব আহমেদ।

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ এ দেশে যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রিসভায় তিনি শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এরপর বর্তমানে যে কক্সবাজারে পর্যটন কেন্দ্র, তা তিনি স্থাপন করেছেন। আজকের যে কৃষি, তার জন্য তিনি কৃষিতে জোর দিয়ে জুট, সার কারখানা সৃষ্টি করেছেন। তেমনিভাবে তিনি যেভাবে সুযোগ পেয়েছেন তিনি বাঙালি জাতিকে প্রস্তুত করতে চেয়েছেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে আজও আমরা পাকিস্তানের দাসত্ব করতাম। বঙ্গবন্ধু নিজে কখনো ভাবতে পারতেন না স্বাধীনতার পরে তাকে কেউ হত্যা করতে পারে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রের চারটি মূলস্তম্ভ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদকে হত্যা করা হয়েছে।

‘তিনি সবসময় গণমানুষর জন্য স্বাধীনতা ও অর্থনেতিক মুক্তি চেয়েছেন। পৃথিবী দুইভাগে বিভক্ত-শোষক ও শোষিত শ্রেণি। তিনি সবসময় শোষিত শ্রেণির পক্ষে নিয়েছেন। তিনি নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র বাঙালিতে পরিণত করে বাংলাদেশ নিয়ে এসেছেন।’

সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে ছিল ফরেন একচেঞ্জ ০%, যা ছিল সব পাকিস্থানিদের দখলে। সেই সময় ৯৫% ইন্ডাস্ট্রির মালিক ছিল পাকিস্তানিরা। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগিতায় দেশেও জনগণ নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে এবং দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করে। যার ফলে বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

স্বাগত বক্তবে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে সব ধরনের উন্নয়নের বীজ বপন করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আজ তার সুফল পাচ্ছে দেশের জনগণ। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আশির দশকের বাংলাদেশ বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থানে পৌঁছাতে পারত এবং এতদিনে উন্নত দেশের কাতারেও নাম লেখাত।

এমআই/

এই বিভাগের আরও খবর