chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সুশান্তের মৃত্যুতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ‘রিয়া চক্রবর্তী’   

বিনোদন ডেস্ক : সুশান্ত মৃত্যু কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তার বান্ধবী অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর। সুশান্তের মৃত্যুর পরই অভিনেতার বাবা রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই দফায় দফায় তলব করা হয় রিয়া চক্রবর্তীকে। ইতিমধ্যেই সুশান্ত মৃত্য রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে মাঠে নেমেছে সিবিআই। কিন্তু এরই মাঝে এবার প্রকাশ্যে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করল সুশান্ত-রিয়ার এক বন্ধু।

অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবার অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর বাবাকে তলব করলো সিবিআই (CBI)। অভিনেতার মৃত্য়ুর পর তাঁর পরিবারের তরফে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করে তাঁর বিরুদ্ধে পাটনায় একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে এই মামলা সিবিআইয়ের কাছে গেলে সুপ্রিম কোর্টও তাতে সায় দেয়। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট তার রায়দানের পর শুক্রবার মুম্বইয়ে আসে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল। রবিবার সুশান্ত রাজপুত সিংয়ের রাঁধুনি এবং তাঁর বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিদ্ধার্থ পিঠানি একসময় সুশান্ত সিং রাজপুতের ফ্ল্যাটে থাকতেন এবং পরে তাঁর “ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার” হিসাবেও কাজ করতে শুরু করেন তিনি। তিনি নিজেকে একজন অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেও দাবি করেন । এই মাসের শুরুর দিকে তাঁকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের থেকেও তলব করা হয়। সুশান্তের মৃত্য়ুর পর তাঁর অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠলে সেবিষয়ে আলাদা করে তদন্ত শুরু করে ইডি।

গত ১৪ জুন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে তাঁর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর মুম্বই পুলিশ জানায় যে, সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন। যদিও তাঁর বাবা ছেলের মৃত্যুর পর অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে।

তদন্তে নেমে ১৩ জুন থেকে ১৪ জুন দুপুর পর্যন্ত ঠিক কী হয়েছিল, তা পুননির্মাণ করতে প্রয়াত অভিনেতার আবাসনে অভিযান চালায় সিবিআই। ইতিমধ্যে সিদ্ধার্থ পিঠানি ও সুশান্তের রাঁধুনির বয়ান রেকর্ড করেছেন গোয়েন্দারা। ডিআরডিও’র মুম্বই অফিস এখন সিবিআইয়ের ওয়্যার হাউস। বয়ান রেকর্ড থেকে তদন্ত পরিচালনা এই অফিস থেকেই চালাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে, প্রয়াত অভিনেতার ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কুপার হাসপাতালের তরফে সেই রিপোর্ট হস্তান্তর করা হয়েছে সিবিআইকে।

এই বিভাগের আরও খবর