নন-ইউরোপিয়ানদের মাঝে ভয় জাগাতে চেয়েছিল সেই হামলাকারী
ডেস্ক নিউজঃ নন-ইউরোপিয়ানদের মাঝে ভয় জাগাতে চেয়েছিল বলে দাবী করলেন নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জন মুসল্লিকে হত্যার ঘটনায় সেই আসামি ব্রেন্টন ট্যারেন্টের।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার পর ক্রাইস্টচার্চের উচ্চ আদালতে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে চার দিনের রায় পড়া শুরু হয়।
আদালতে বলা হয়েছে, “সে নন-ইউরোপিয়ানদের মাঝে ভয় জাগাতে চেয়েছিল। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার আগে অন্যান্য মসজিদে হামলার পরিকল্পনাও করেছিল।” হামলাকারী নিউ জিল্যান্ডের মসজিদগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন, মসজিদগুলোর নকশা, অবস্থান ও অন্যান্য বিস্তারিত নিয়ে অনুসন্ধান চালান। সবচেয়ে বেশি লোক জড়ো হয় এমন এক সময়ে হামলা চালানোর লক্ষ্য নিয়ে এসব করেছিল সে।
হামলার কয়েক মাস আগে ক্রাইস্টচার্চে গিয়ে একটি ড্রোন উড়িয়ে সে তার প্রথম লক্ষ্য আল নূর মসজিদ পর্যবেক্ষণ করে নেয়। আল নূর মসজিদ ও লিনউড ইসলামিক সেন্টারের পাশাপাশি অ্যাশবার্টন মসজিদেও হামলা হামলার লক্ষ্য ছিল তার।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সোমবার শাস্তি ঘোষণার শুনানি শুরু হয়েছে দেশটির আদালতে। ওই হামলা থেকে বেঁচে থাকা ব্যক্তি ও নিহতদের স্বজনদের উপস্থিতিতে এই শুনানি হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়ে চারদিন চলবে এই শুনানি। এতে ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে যাবজ্জীবন জেল দেওয়া হতে পারে। মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় এই অস্ট্রেলিয়ান সন্ত্রাসী। সেই হত্যাদৃশ্য আবার ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে। এ ঘটনায় নিহত হন বাংলাদেশি বেশ কয়েকজন। অল্পের জন্য রক্ষা পান বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকারা।
এই হত্যাকাণ্ডে ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে ৫১টি হত্যা, ৪০টি হত্যাচেষ্টা এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হয়েছে। যে ক্রাইস্টচার্চে সে এই হত্যালীলা চালিয়েছিল সেখানেই কোর্ট হাউজে শুনানি শুরু হয়েছে। এতে উপস্থিত আছেন ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।