chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সত্য কথা বললেই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়: কাদের

ডেস্ক নিউজ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সত্য কথা বললেই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়। অন্ধকারের শত্রুরা সত্য সহ্য করতে পারে না, সত্যের বন্যা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যায়।

রোববার (২৩ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় উট পাখির মত মুখ বালুতে লুকিয়ে রাখলে সত্য কখনো মিথ্যা হবে না। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় যে বিএনপি জড়িত তা দিবালোকের মতো সত্য, ধামাচাপা দিয়ে কেউ পার পাবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা সংক্রমণের বর্তমান পর্যায়ে এসেও অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। অনেকেই মাস্ক পরাকে অবহেলা করছেন। এই অবহেলা-শৈথিল্য প্রকারান্তরে ভয়ঙ্কর ঝুঁকিতে ফেলতে পারে আমাদের এবং এজন্য চরম মূল্য দিতে হবে। তাই আমি আবারও সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে করোনাবিরোধী প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, কোথাও-কোথাও বন্যার পানির সঙ্গে জোয়ারের পানি আসায় বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। মূল্যবান সম্পদসহ ফসলহানি হয়েছে। এ অবস্থায় মানুষের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সমাজের সর্বস্তরের যার সামর্থ্য আছে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। দুর্গত মানুষের কাছে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, একটা কথাই বলতে চাই চলমান পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ যেমন তোমাদের ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি জীবনও কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ। জীবন না থাকলে ভবিষ্যতে গড়বে কেমনে।

তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে খুব সিরিয়াসলি প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। সার্বক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই চিন্তিত।

এমআই/

এই বিভাগের আরও খবর