chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বিকাশে পাওনা টাকা ফিরিয়ে দিল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিকাশে পাওনা টাকা ফিরিয়ে দিয়ে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পুলিশ সদস্য। বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (বন্দর) জোনে কর্মরত সহকারী উপ-পরির্দশক (এএসআই) শেখ ফরিদ বিকাশে পাওয়া ১০ হাজার টাকা মূল মালিক কাজী আরিফুল ইসলামকে ফেরত দেন।

টাকা ফেরত পেয়ে আরিফুল ইসলাম তার ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেন। তার পোস্টটি পাঠকদের জন্যে হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আসসালামু আলাইকুম সবাইকে।বর্তমান করোনা কালীন সময়ে সবার আর্থিক অবস্থার করুণ পরিণতি । আমরা বর্তমানে এমন একটা সময় পার করছি যে সময়ে মানবিকতা বলতে কিছুই নেই কাকে কিভাবে মেরে টাকা ইনকাম করা যায় টাকা কিভাবে আত্মসাৎ করা যায় সে চিন্তা ভাবনা মগ্ন থাকি। বর্তমান সময়ে গতকাল আমার বাবা ভুলবশত 10000 টাকা একটি নাম্বার পাঠিয়ে দেয় ।টাকা পাঠানোর পর আমি একবারে হতাশ হয়ে যাই যে টাকাটা মনে হয় উদ্ধার হবে না টাকাটা মনে হয় আর পাবো না। কারণ বর্তমান সময়ে কারো কাছে ভুলবশত 100 টাকা ফ্লেক্সিলোড গেল সে টাকা টাকা ফেরত দেয় না ।

তো আমি ওই নাম্বারে ফোন দি ফোন দিয়ে দেখি যার কাছে টাকা গিয়েছে তিনি ফোন ধরছেনা । পরে অবশ্য বুঝতে পারি উনি একজন পুলিশ ভাই তিনি সারারাত ডিউটি করার কারণে ফোন ধরতে পারিনি তারপর তিনি আমাকে ফোন দেয় এবং আমাকে আশ্বস্ত করলেন আমার টাকা আমাকে ফেরত দেবে আমি তো একদম নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম ফোনে কথা শুনে একটু সাহস পেলাম আমাদের মনে একটা ধারণা আছে যে সব পুলিশি পুলিশ ঘুষ খায় বা দুর্নীতি করে সবাই তো আর এক না কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী পুলিশ অফিসারের জন্য পুরা ডিপার্টমেন্ট কে দোষারোপ করা ঠিক না । তারপর সেই ভাইটি আজকে আমার সাথে দেখা করে আমাকে আমাকে টাকাটা ফেরৎ দিয়ে দেয় তিনি চাইলে কিন্তু আমার টাকাটা না দিলে পারতেন।এই মহৎ কর্ম কান্ড দেখে আমি সত্যিই ভীষণ অবাক ।তার নাম হলো শেখ ফরিদ বর্তমানে পুলিশের ডিবিতে অফিসার হিসেবে আছে তার কর্মকাণ্ডে পুলিশের প্রতি অগাধ বিশ্বাস সম্মান বেড়ে গেল ধন্যবাদ প্রিয় শেখ ফরিদ ভাই Sheikh Farid’

আরিফুল ইসলাম চট্টলার খবরকে বলেন, টাকাগুলো আমার কলেজ ভর্তির টাকা ছিলো।ভাবিনি ফেরত পাবো। ফরিদ ভাই আমার ধারনা পাল্টে দিয়ে টাকা ফেরত দিলেন। আমি ও আমার পরিবার তার কাছে কৃতজ্ঞ।
এ বিষয়ে সহকারী উপ-পরির্দশক (এএসআই) শেখ ফরিদ চট্টলার খবরকে বলেন, সততা এবং নৈতিকতাকে বুকে ধারন করে পুলিশ সদস্যরা কাজ করেন।পুলিম সর্ম্পকে সাধারন জনগন অনেক ভ্রান্ত ধারনা পোষন করেন।এই ভ্রান্ত ধারনা থেকে যাতে সাধারন মানুষ বেরিয়ে আসে।

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার মুছাপুর ইউনিয়নের বক্স আলী হাজীর বাড়ীর মৃত আনছারুল হকের ছেলে শেখ ফরিদ আত্ম-মানবতার সেবায় বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।

কামরুল/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর