৩ কর্মকর্তা দিয়ে চলবে চসিকের ৪১ ওয়ার্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক : সহায়ক পরিষদ গঠন নয়। বরং প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন একাই চালিয়ে নিবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে এরকমই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের দায়িত্ব চসিকের সিনিয়র তিন কর্মকর্তাকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
চসিকের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেন। এতে ওয়ার্ড সমূহের দৈনন্দিন কাজ, সড়ক আলোকায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জন্ম-মৃত্যু এবং ওয়ারিশ সনদপত্র প্রদান ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য তিন কর্মকর্তাকে ৪১ ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম। ১৫ নম্বর থেকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া এবং ২৯ থেকে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরীকে। চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব আবুল হাসেম বলেন, আমরা কদিন আগে সহায়ক পরিষদের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলাম।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সহায়ক পরিষদ নয়, চসিকের কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই কাজ চালিয়ে নিতে। সে কারণে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তিন কর্মকর্তাকে ৪১ ওয়ার্ডের দায়িত্বভার বণ্টনের একটি অফিস আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে ৫ আগস্ট চসিকে’র পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়। এর একদিন আগে প্রশাসক পদে খোরশেদ আলম সুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৬ আগস্ট তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মেয়রের সঙ্গে নির্বাচিত ৪১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১৪টি সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মেয়াদও ৫ আগস্ট শেষ হয়। এরপর থেকে সদ্য সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কোনোরকম দাপ্তরিক কাজ না করতে চসিক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ওয়ার্ড কার্যালয়গুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রম থমকে আছে।
দায়িত্ব নেওয়ার পর খোরশেদ আলম সুজন শনাক্তকরণ, জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া ও ওয়ারিশনামা সার্টিফিকেট দেওয়া দৈনন্দিন কাজ কীভাবে করা হবে তা জানতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চেয়ে চিঠি দেন।
এসএএস/