chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নিজেকে সৎ ও মেধাবী দাবী করলেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি

ডেস্ক নিউজ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ নিজেকে সৎও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করেছেন।

বুধবার ( ১২ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।

এ সময় আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি ২০১৬ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে মাহপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। আমি লক্ষ করছিলাম, আমাকে নিয়ে অপপ্রচার শুরু হয়েছে। পদ আগলে রাখা আমার কাছে সম্মানের বিষয় নয়। তাই বিবেক তাড়িত হয়ে গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক থেকে অব্যাহতি নিয়ে স্বেচ্ছায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করি। কোভিড সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ উঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে এ বিষয়ে আমি কি জানি তা শোনার জন্য দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা আজ আমাকে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যা জানি তা তাদের বিস্তারিত বলেছি। তদন্তাধীন বিষয়ে এ মুহূর্তে আমার পক্ষে আর কিছুই বলা সম্ভব নয়। আমি এই কথা বলে শেষ করতে চাই, আমি কঠোর পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান, সৎ, দক্ষ ও সফল ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে সারাজীবন কাজ করেছি। আমি একজন অহমিকামুক্ত সরল ও সজ্জন ব্যক্তি। জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সকল ক্ষেত্রে আমার পর্যাপ্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞা আছে। কোভিডের মতো মহাদুযোর্গে যেন লাখ লাখ মানুষের জীবনহানি না ঘটে সে জন্য নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে করে কাজ করেছি। কোভিড থেকে নিজেকেও বাঁচাতে পারেনি। ২০ দিন ভুগে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দিনই কাজে যোগ দিয়েছি। কারণ কোভিড এমন একটি মহাদুযোর্গ বিশ্রামের কথা ভাবতে পারেনি।’

এর আগে, সকালে ১০টা থেকে মাস্ক ও পিপিই কেলেঙ্কারির ঘটনায় অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। দুদকের উচ্চপর্যায়ের একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অপরদিকে আাগামীকাল বৃহস্পতিবারও (১৩ আগস্ট) জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অধ্যাপক আবুল কালামকে।

এর আগে তলব করা চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি কেনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এসব অভিযোগ ও ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে তথ্য জানতে দুদক তাদের তলব করে।

এই বিভাগের আরও খবর