chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে: কাদের

ডেস্ক নিউজ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সরকার যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবে।

সোমবার মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার এ সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা এবং বাসা বাড়িতে অবস্থান করায় শিশু-কিশোর এবং তরুণদের মানসিক চাপ বেড়েছে। সরকার সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। ইতোমধ্যে অনলাইনে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

‘পরিস্থিতি অনুকূলে এলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সরকার যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবে। আমি অভিভাবকদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, কোথাও কোথাও গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি এবং মালিক-শ্রমিকদের প্রতিশ্রুতি সমন্বয় করা ভাড়া মানছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, যা প্রত্যাশিত নয়। পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনগুলো এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও ভাড়া আদায় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালানোয় কেন তারা ব্যর্থ হচ্ছেন? পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিআরটিএকে যেসব পরিবহন সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

‘সতর্কতার সাথে ঈদের পর গাড়ি চালানোর অনুরোধ করা হলেও তারা তা মানেননি। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণেই ঘটছে দুর্ঘটনা। জনগণকে আর কতদিন এ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে? ঈদের সময় অনেক পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেনি। অর্ধেক আসন খালি রাখার কথা থাকলেও অনেক পরিবহন তা মানেনি। এমনকি এখনও সমন্বয় করা ভাড়া না মানার অভিযোগ আছে।’

মন্ত্রী বলেন, গণপরিবহন, বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাটসহ শপিংমল এবং অন্যান্য স্থানে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি অনেকের উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। অনেকে সংক্রমণের লক্ষণ লুকিয়ে চলাফেরা করছে। আপনারা দেখছেন, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় আক্রান্তের হার শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগের মধ্যে অবস্থান করছে। কিছুদিন ধরে আবার বিশ্বের কোনো কোনো দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হানছে। এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের উদাসীনতা ভয়ানক ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। নিজের, পরিবারের এবং প্রতিবেশীর সুরক্ষায় আসুন সচেতন হই। আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করি। একটাই জীবন আমাদের, তাই এ জীবন নিয়ে হেলাফেলা না করি। সর্বোচ্চ সতর্ক থাকি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেছেন, তাদের দলের নেতাকর্মীদের নাকি গ্রেফতার হয়রানি করা হচ্ছে। আমি আগেও বলেছি রাজনৈতিক কারণে কাকে, কোথায় গ্রেফতার, হয়রানি করা হয়েছে, বলুন। তাই বলে অপরাধীদের ধরা হবে না? অপরাধী, সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। সরকার বিভিন্ন অপরাধে নিজেদের দলের লোকদেরও ছাড় দিচ্ছে না। আর বিএনপি সমর্থিত কোনো অপরাধী গ্রেফতার হলে অভিযোগ কেন? দেশে অসংখ্য নজির আছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের। শেখ হাসিনা সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখে। কোথাও রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করা হচ্ছে না। বিএনপির কোনো কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে?

তিনি বলেন, এদেশের মাটি বীরত্বগাথা উর্বর। আবার বিশ্বাসঘাতকতার নিকৃষ্ট নজিরও এখানে আছে। এখানে দেশপ্রেমের যেমন বিরল দৃষ্টান্ত আছে। ঠিক তেমনি ষড়যন্ত্রের গন্ধও আছে। এদেশে ঘটনার আগে কিছু বোঝা যায় না। হঠাৎ করেই চোখের পলকে ১৫ আগস্ট ঘটানো হয়েছিল। ২১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল কারা? কারা তখন ক্ষমতায় ছিল? বিএনপিই ছিল মাস্টারমাইন্ড। যারা জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনাকে ভিন্ন দিকে ঘুরানোর অপচেষ্টা করেছিল, তাদের মুখে হত্যার বিচার চাওয়া কি শোভা পায়?

এমআই/

এই বিভাগের আরও খবর