নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকায় একটি তেলের কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভোজ্যতেল তৈরির দায়ে ২ লক্ষ টাকা জরওমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময় কারখানাটি সিলগালা করা হয়।
রবিবার (৯ আগস্ট) পরিচািলিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক।
নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকায় সাকসেস অয়েল ইনড্রাস্টিজ নামের একটি কারখানায় অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে কারখানা মালিক মো. গোলজার হোসেন কে ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পাশাপাশি কারখানাটি সিলগালা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সরেজমিনে দেখা যায় কারখানাটি কোন নিয়ম না মেনে অস্বাস্থ্যকরভাবে ভোজ্য তেল বোতলজাত করে বাজারজাত করে আসছে।প্লাস্টিক বোতল ৪০০ গ্রামের হলেও মোড়কে লেখা ৫০০ গ্রাম । পরিমাণে প্রত্যেক প্রকারের বোতলেই দেখা যায় গায়ে লেখা পরিমানের চেয়ে কম তেল যা এক ধরণের প্রতারণা।
তিনি আরও বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই,উপযুক্ত ল্যাব নেই,কেমিস্ট নেই, নষ্ট মেশিনারীজ,ক্লিনিং রুম না থাকা, ভেজাল তেল পাওয়া,ভিটামিন এ সমৃদ্ধ লেখা যা পরিক্ষীত নয়, শিশু শ্রমিক নিয়োগ সহ অনেক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়।
তিনি আরও বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া লোগো ব্যবহার করে কারখানাটি গৃহিনী ও নবান্ন নামে বোতলজাত করে তেল বাজারজাত করে আসছে। নবান্ন নামের মোড়ক হুবহু রুপচাঁদা সয়াবিন তেলের নকল। এমনকি এস আলম এডিবল অয়েল ও পতেঙ্গার ভিওটিটি অয়েল কোম্পানির তেল নিজেদের নামে বাজারজাত করে আসছে যদিও নিজেদের মধ্যে কোন চুক্তি নেই।
অভিযানে আরও ছিলেন র্যাবের মেজর শামীম সরকার, সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার, বিএসটিয়াই এর ফিল্ড অফিসার রাজীব দাশ গুপ্ত ও স্যানিটারি অফিসার ইয়াসিন আহম্মেদ প্রমুখ।