chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শেষ মুহূর্তে বাজারে পশু সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল ঈদ। চাঁদরাতে গরু কেনার অপেক্ষায় রয়েছেন। এটা আমাদের চট্টগ্রামবাসীর পুরোনো অভ্যাস। কিন্ত এ বছর তাদের সে আশায় গুড়েবালি।বাজার শুরু হওয়ার পর থেকে বাজারে ক্রেতা সংকট থাকলেও ঈদের একদিন সেটি এখন রূপ নিয়েছে পশু সংকটে।নগরীর নুর নগর হাউজিং বাজার ও বিবিরহাট গরুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক ক্রেতা গরু না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে।বাজারে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও মাঝারি গরু নেই বললেই চলে। এছাড়াও গরু প্রতি দাম বেড়েছে ১০ হাজার টাকার মত।কেউ কেউ টাকা দিয়েও পাচ্ছে না কাঙ্খিত গরু।

গরু রাখা ও খাবারের সমস্যার কারণে ঈদের আগের দিন গরু কেনেন অনেক বাসিন্দা। তবে শেষ সময়ে পশু সংকট দেখা দেওয়ায় কোরবানির পশু কেনা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। নগরীর এক কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দা রবিউল আলম জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঈদের একদিন আগে গরু কিনতে যাই বাজারে কিন্ত পুরো বাজার ঘুরে পছন্দের গরু মিলাতে পারিনি।আগে থেকে বাজার প্রচুর গরু থাকলেও এখন বাজারে মোটেও গরু নেই। পাশাপাশি আগের চেয়ে গরুর দাম বেড়েছে।

বাজার ইজারাদাররা বলছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবছর যে বেপারিরা গরু আনেন, তারা করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার আসেননি। শুরু থেকে চট্টগ্রাম আর ঢাকায় গরুর বাজার বসা নিয়ে সংশয়ের কারণেও অনেক বেপারি এবার বাজারমুখী হননি। এছাড়া বাজার শুরুর পর থেকে ক্রেতা না পাওয়ায় স্থানীয় বেপারিরা গরু নিয়ে গ্রামের হাটগুলোতে ছুটেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে হঠাৎ করে ক্রেতার আধিক্য বাড়ায় বাজারে গরু সংকট শুরু হয়েছে। তবে সংকট মোকাবেলায় ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের আশপাশের জেলাগুলোর বেপারিদের গরু নিয়ে আসতে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।

এই বিভাগের আরও খবর