করোনার দাপট অব্যাহত, বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ৬ লাখ ৬২ হাজার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনার তাণ্ডবে দিশেহারা পুরো বিশ্ব। প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে (কোভিড-১৯) গত একদিনে প্রাণ ঝরেছে বিশ্বের ৫ হাজার ৫৬৭ জন মানুষের। এতে করে মৃতের সংখ্যা ৬ লাখ ৬২ হাজার ৪৮১ জনে ঠেকেছে।
ওয়ার্ল্ডমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সোয়া ২ লাখ ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। এতে করে মোট বেঁচে ফেরার সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখ ৫১ হাজার ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে সবার উপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪২ জন। না ফেরার দেশে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২০ জন মানুষ।
ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণহানি ৮৮ হাজার ৬৩৪ জনে ঠেকেছে।
সংক্রমণে তিনে থাকা ভারতে গত একদিনেই ৪৯ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ সাড়ে ৩২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণহানি ঘটেছে ৩৪ হাজার ২২৪ জনের।
রাশিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৮ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৫০৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ লাখ ৬০ হাজারের কাছাকাছি। আর মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৩৫৭ জনের।
উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোয় আক্রান্ত ৩ লাখ ৯৫ হাজার পেরিয়েছে। প্রাণ গেছে ৪৪ হাজার ২২ জন মানুষের।
লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ পেরুতে আক্রান্ত ৩ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি। যেখানে মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৬১২ জন।
চিলিতে সংক্রমণ সাড়ে ৩ লাখের কাছাকাছি। এর মধ্যে ৯ হাজার ২৪০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।
যুক্তরাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৯২। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ হাজার ৮৭৮ জনের।
ইরানে করোনার শিকার ২ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি মানুষ। প্রাণহানি ঘটেছে ১৫ হাজার ১৪৭ জনের।
পাকিস্তানে করোনার শিকার পৌনে ৩ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮৬৫ জনের।
সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭১ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৭৮৯ জন।
ইতালিতে ২ লাখ ৪৬ হাজারের অধিক মানুষ করোনার ভুক্তভোগী। এর মধ্যে পৃথিবী ছেড়েছেন ৩৫ হাজার ১২৩ জন।
বাংলাদেশে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৩ হাজার জনের। আর সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪১৪ জন ভুক্তভোগী।
এমআই/