৩০৪ স্থানে পশু জবাই, বর্জ্য অপসারণে থাকবে ৩৫০ গাড়ী
নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন কোরবানির ঈদে পশু জবাইয়ের জন্য ৩০৪টি স্থান নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এছাড়াও পশু জবাইয়ের বর্জ্য অপসারণে থাকবে ৩৫০ টি গাড়ী। এসব গাড়ী দ্রুত সময়ে বর্জ্য পরিবহনে নিয়োজিত থাকবে। এসব নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করতে নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়াও বর্জ্য অপসারণ ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। একইসাথে খোলা হবে কন্ট্রোল রুম। বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যাতে নগরীকে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য মুক্ত করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
এ ব্যাপারে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী বলেন, কোরবানির পশু জবাইয়ের প্রায় আট হাজার টন বর্জ্য অপসারণে ৩৫০টি গাড়িসহ পরিচ্ছন্নকর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা সকাল ৯টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করব। রাত ৮ টার মধ্যে পুরো শহরের বর্জ্য অপসারণ করা আমাদের লক্ষ্য। এ জন্য সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এছাড়াও কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। যাতে রাত ৮ টার পর বর্জ্য থাকলে আমরা সাথে সাথে জানতে পারি।
চসিক সূত্র জানায়, জবাইকৃত পশুর বর্জ্যগুলো বিকেল ৫ টার মধ্যে প্রধান সড়ক থেকে এবং রাত ৮ টার মধ্যে পুরো শহর থেকে অপসারণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে পুরো শহরকে চারটি জোনে ভাগ করে চারজন কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক বিষয় তদারকি করবেন মেয়র।
এদিকে, এবারও নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের নির্দেশনা আছে মন্ত্রণালয়ের। এর আলোকে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য নগরীতে ৩০৪টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে চসিক। নির্ধারিত স্থানগুলো ছাড়া অন্য কোথাও উন্মুক্ত স্থান বা সড়কে পশু জবাই না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তবে কোনো কোরবানি দাতা চাইলে তার বাড়ি বা বাসার আঙিনায় পশু কোরবানি দিতে পারবেন। চসিকের নির্ধারিত পশু কোরবানির স্থানগুলোতে পানির সরবরাহ, সেবাপ্রাপ্তির বসার স্থান এবং বিøচিং পাউডারের ব্যবস্থা রাখা হবে। চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির দিন সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে প্রায় ৪ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরু রাস্তা ও গলি থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য টমটম ও বর্জ্য অপসারণ কাজ তদারকিতে নিয়োজিত পরিচ্ছন্নতা বিভাগের সুপারভাইজারদের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।