chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা কিন্তু মানুষের সেবা নিয়েই গত পাঁচ মাস কাজ করে গেছি।

বুধবার (২২ জুলাই) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ প্রশংসা করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা পাঁচ মাস ধরে দেশের কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এখন মৃত্যুর হার পৃথিবীর মধ্যে ঘনবসতি যেসব দেশ আছে, তারমধ্যে সবচেয়ে কম কম; ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

তিনি বলেন, আরও ভালো সংবাদ হলো যে আমাদের হাসপাতালের বেডে রোগীর সংখ্যা, বিশেষ করে ঢাকা শহরে অর্ধেকে নেমে গেছে। ঢাকা শহরের হাসপাতালে তিন হাজারের অধিক বেড খালি আছে।

‘আমরা আরও দুই হাজার ডাক্তার, তিন হাজার টেকনেশিয়ান নিয়োগের কাজ করছি।’

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যাতে আরও ভালো হয় এবং আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য টেকনিক্যাল কমিটি বিভিন্ন দিক দেখবে এবং পরামর্শ ও কিছু কিছু নিয়ন্ত্রণও তারা করবে। সেটা অলরেডি আমরা গঠন করেছি। আমরা চাই এখানে সুষ্ঠু পরিচালনা হোক, মানুষ সেবা পাক।

তিনি বলেন, আমরা কিন্তু মানুষের সেবা নিয়েই গত পাঁচ মাস কাজ করে গেছি। মাঠে কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই ছিল এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনেকে সাহায্য করেছে। কাজেই আমরা ভালো করেছি কিনা- সেটা সাংবাদিক ভাইয়েরা তো ভালো বুঝতে পারেন। আপনি পরীক্ষায় কত নম্বর পেলেন, এটার ওপর ডিপেন্ড করে আপনি পরীক্ষা কেমন দিয়েছেন। আমরা মনে করি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো নম্বর পেয়েছে।

‘নম্বরটা কী, আমাদের মৃত্যুর হার দেড় পার্সেন্ট। এটা হলো সবচেয়ে বড় নম্বর। যেটা আমেরিকায় ছয় পার্সেন্ট, ইউরোপে ১০ পার্সেন্ট, পৃথিবীরটা হলো ছয় পার্সেন্ট। এটাই সবচেয়ে বড় মানদণ্ড। আমরা কাজ ভালো করতে পেরেছি কি-না?’

জাহিদ মালেক বলেন, এখন হাসপাতালে অর্ধেক রোগী। রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সবাই চায় যে রোগীর সংখ্যা কমে যাক, অর্থাৎ ক্রিটিক্যাল রোগী আর নাই। আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, কেন নাই? বিকজ স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। ঘরে থেকে মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে। অর্থাৎ টেলিমেডিসিন আমরা যেটা দিচ্ছি সেটা খুভ ভালো কাজ করছে।

‘চার হাজারের অধিক ডাক্তার টেলিমেডিসিন দিচ্ছে। মেডিসিনের যেটা প্রয়োগ সেটাও খুব ভালো হচ্ছে। যে কারণে ঘরে থেকেই লোকে সেবা পেয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে যারা খুবই মুমূর্ষু রোগী বা ক্রিটিক্যাল তারা আসছে।’

এমআই/

এই বিভাগের আরও খবর