chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

গ্রেফতারের দু’দিন পর ‘কথিত’ বন্দুকযুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত 

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার সদরে গ্রেফতারের দুইদিন কথিত বন্দুকযুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২০ জুলাই) ভোররাতে কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল ব্রীজ এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত মিজান (৩২) কক্সবাজার পৌরসভার টেকপাড়া এলাকার বাবুল প্রকাশ জজ বাবুলের ছেলে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শাহজাহান কবির বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার মাঝিরঘাটে আলোচিত ইয়াবা লুঠের মূলহোতা ছিল মিজান। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পর ১৭ জুলাই বেনাপোলের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটকের পর কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ওসি আরও বলেন, মিজানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোমবার (২০ জুলাই) ভোররাতে মাঝিরঘাটস্থ খুরুশকুল ব্রীজ এলাকায় লুট হওয়া ইয়াবাগুলো উদ্ধারে যায় সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল। সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ইয়াবা কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

একপর্যায়ে অস্ত্রধারী মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মিজানকে উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ১০ হাজার ইয়াবা, একটি দেশিয় বন্দুক ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি মাঝির ঘাট এলাকায় খালাসের সময় এক কোটি ইয়াবার একটি চালান মিজানসহ আরও কয়েকজন মিলে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লুট করে। ফিশিং বোটে করে আনা ইয়াবার বিশাল চালান লুটের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে মিজান ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লুণ্ঠিত ইয়াবাগুলো বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে। ইয়াবাগুলো ২৪ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয় বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।

১৫ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন, কক্সবাজার থেকে পালিয়ে যায় মিজান।

এ ঘটনায় ২৪ ফেব্রুয়ারী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়া এলাকার মোস্তাকের বাড়ি থেকে ১ লাখ পিস এবং লারপাড়ার গ্যাস পাম্পের পেছনের মোক্তার মেম্বারের বাড়ি থেকে আরও এক লাখ পিস সহ দুই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

অভিযানে মিজানের অন্যতম সহযোগী মো. ফিরোজ ও মোস্তাক আহমেদকেও গ্রেপ্তার করা হয়, তারা বর্তমান কারাগারে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর